শেরপুরে দুই পক্ষের 'গোলাগুলি', নিহত ১

বগুড়ার শেরপুরে গতকাল মঙ্গলবার গভীর রাতে দুই পক্ষের মধ্যে ‘গোলাগুলির’ ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ গুলিবিদ্ধ একজনকে উদ্ধার করে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল রাত একটার দিকে শেরপুর-কাজীপুর আঞ্চলিক সড়কের বোয়ালকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শেরপুর থানা-পুলিশের দাবি, গোলাগুলিতে নিহত ব্যক্তির নাম শফিউর রহমান ওরফে জ্যোতি (৫৪)। তাঁর বাড়ি বগুড়ার ধুনট উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের খাদুলী গ্রামে। তিনি নিষিদ্ধ সর্বহারা দলের আঞ্চলিক কমান্ডার। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা আছে। বিচারে তাঁর সাজা হয়েছে ৮৬ বছর।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শেরপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বুলবুল ইসলাম বলেন, বোয়ালকান্দি এলাকায় সন্ত্রাসীদের দুই পক্ষের মধ্যে ‘গোলাগুলির’ সংবাদ জানার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছার আগেই তাঁরা পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে গুরুতর আহত অবস্থায় একজন পড়ে ছিলেন। তাঁর লাশ এখন বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য শেরপুর থানা-পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটার গান, তিনটি গুলি ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

শেরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, সন্ত্রাসীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ‘গোলাগুলির’ ঘটনা ঘটতে পারে। শফিউর রহমান ওরফে জ্যোতির নথিপত্র থেকে জানা গেছে, তিনি ১৯৮৭ সালে নাটোরের গুরুদাসপুর থানায় অস্ত্র লুট ও পুলিশ হত্যার সাজাপ্রাপ্ত আসামি। তাঁর নামে বিভিন্ন থানায় ছয়টি হত্যা মামলাসহ মোট ১৩টি মামলা আছে। তিনি বগুড়া, নাটোর, সিরাজগঞ্জ ও পাবনা জেলার চরমপন্থী দলের কমান্ডার ছিলেন।

এর আগে ২৬ এপ্রিল দিবাগত রাতে দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলিতে নিহত হন সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার অর্জুনিয়া গ্রামের লিটন সরকার (৩৫) ও তাড়াশ উপজেলার পাইকড়া গ্রামের আফছার আলী (৪৫)। পুলিশের দাবি, তাঁরা চরমপন্থী দলের সদস্য ছিলেন।