দামুড়হুদায় হাত-পা বাঁধা অচেতন কারারক্ষী উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলায় তুলে নেওয়ার তিন দিন পর মিলন হোসেন (২৬) নামের এক কারারক্ষীকে হাত-পা বাঁধা ও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানা-পুলিশ উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের রুদ্রনগর মাদ্রাসার পাশে বাঁশবাগান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে।

উদ্ধারের পর মিলন হোসেনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। মিলন দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ মিলনের সৎ ভাইসহ সন্দেহভাজন দুজনকে আটক করেছে। পুলিশের ধারণা, জমিজমা নিয়ে পারিবারিক বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে।

দামুড়হুদা মডেল থানা-পুলিশ জানায়, কারারক্ষী মিলন হোসেনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার ১৫ মিনিট পর জ্ঞান ফিরে আসে। মিলন পুলিশকে জানিয়েছেন, গত রোববার বিকেলে যশোরে কর্মস্থলের উদ্দেশে গ্রামের বাড়ি থেকে একটি ইজিবাইকে চেপে তিনি রওনা দেন। মাঝে জীবননগরে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই দামুড়হুদার গলাইদড়ি ঘাট এলাকা থেকে তাঁর সৎ ভাইসহ তিনজন কৌশলে ইজিবাইক থেকে নামিয়ে তাঁকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। কিছু দূর যাওয়ার পর আরও তিনজন মাইক্রোবাসে ওঠেন। তারপর আর কিছুই মনে নেই তাঁর।

দামুড়হুদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস বলেন, মিলনের বাবা দুই বিয়ে করেছেন। মিলন বড় স্ত্রীর ছেলে। বাড়ি-ঘরসহ পারিবারিক সম্পদ মিলন হোসেন ভোগ করায় ছোট স্ত্রীর ছেলে-মেয়েদের ভেতর অসন্তোষ চলে আসছিল। পাওনা বুঝে নিতে ছোট স্ত্রীর ছেলেমেয়েরা কয়েক দিন আগে মিলনের বাবা লিয়াকত আলীর সঙ্গে দেখাও করেন। কিছুটা গোলযোগও হয়। পারিবারিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ এখনো নিষ্পত্তি হয়নি।

ওসি বলেন, মিলনের সৎ ভাই হাসমত আলী ও ভাগনে মানিক হোসেনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। থানায় নিয়ে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।