কীভাবে পাশের বাসার ছাদে এসে পড়ল দুই কিশোরী?

রাজধানীর উত্তরার একটি বাসার ছাদ থেকে দুই কিশোরীকে উদ্ধারের পর তাদের মৃত্যু ঘিরে রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত দুই কিশোরীর মৃত্যু–রহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়নি। তাদের মৃত্যু–রহস্য উদঘাটনে জোর চেষ্টা চলছে।

মারা যাওয়া কিশোরী দুজন হচ্ছে রুবি (১৭) ও হালিমা (১৪)। তারা মাজেদ নামের গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে গৃহকর্মীর কাজ করত। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার পর ওই ছয়তলা বাসার পাশের একতলা ছাদের ওপর থেকে দুজনকে উদ্ধার করা হয়।

উত্তরা পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তপন চন্দ্র সাহা বুধবার দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, দুই কিশোরীকে উদ্ধার করে ভোররাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। তখন একজনকে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। অপর গৃহকর্মীও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। এখনো দুজনের পরিবারের সদস্যদের কেউ ঢাকায় এসে পৌঁছাননি। দুই কিশোরীর লাশ আছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে।

দুই কিশোরীর মৃত্যুর–রহস্য উদঘাটনে উত্তরা পশ্চিম থানা-পুলিশের সদস্যরা ষষ্ঠ তলার ফ্ল্যাটে যান। তাঁরা ফ্ল্যাটের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরার (সিসি ক্যামেরা) ভিডিও ফুটেজ দেখেন।
ওসি তপন চন্দ্র সাহা প্রথম আলোকে বলেন, দুই কিশোরী ব্যাগপত্র নিয়ে ছয়তলার ছাদে উঠেছে, তা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে। এরপর ওই ছাদ থেকে কীভাবে পাশের ভবনের এক তলার ছাদে এল, তা জানা যায়নি। তবে দুজনের হাত ও পা ভেঙে গেছে।

ওসি জানান, ছয়তলা ভবনের ছাদ থেকে দুই কিশোরীকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছে, না ছাদ থেকে লাফ দিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছে, তা জানার চেষ্টা চলছে।