আশাশুনিতে ঘের কর্মচারীকে কুপিয়ে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলায় চিংড়ি ঘের দখলকে কেন্দ্র করে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার সকাল আটটার দিকে উপজেলার শোভনালী ইউনিয়নের বালিয়াপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের নাম মোনায়েম গাইন (৪০)। তিনি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার সাঁইহাটি গ্রামের বাসিন্দা।

আশাশুনি উপজেলার শোভনালী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নজরুল ইসলামের ভাষ্য, উপজেলার বালিয়াপুর গ্রামে তাদের নিজস্ব জমিতে ১৫ বিঘার একটি চিংড়ি ঘের আছে। আজ সকাল আটটার দিকে শোভনালী ইউপির চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন সানার নেতৃত্বে সাবেক ইউপি সদস্য হারুন উর রশিদ, নাজমুস সাকিব লিটন, আক্তার হোসেন, শাহাদত হোসেন, হাবিবুর রহমান হবি, আকবার আলীসহ ২০-২২ জন দা, বল্লমসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘের দখল করতে যান। এ সময় ঘেরে অবস্থানরত কর্মচারী মোনায়েম হোসেন গাইন বাধা দিলে তাঁকে কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে তাঁকে উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে খুলনা মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থার আজ দুপুর ১২টার দিকে তিনি মারা যান।

শোভনালী ইউপি চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেন বলেন, বালিয়পুর গ্রামের ১৫ বিঘার ওই চিংড়ি নিয়ে ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম ও সাবেক ইউপি সদস্য হারুন-উর-রশিদের মধ্য দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ আছে। ঘেরটি ইউপি সদস্য নজরুল ইসলামের দখলে ছিল। আজ সকাল আটটার দিকে সাবেক ইউপি সদস্য হারুনের লোকজন ঘেরটি দখল করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। সেখানে হারুনের লোকজন ঘের কর্মচারী মোনায়েম হোসেন গাইনকে কুপিয়ে জখম করেন। পরে খুলনায় চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

সাবেক ইউপি সদস্য হারুন উর রশিদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাঁর মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

ইউপি সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, নিহত মোনায়েম গাইনের চাচা রুহুল আমিন গাইন বাদী হয়ে আশাশুনি থানায় শোভনালী ইউপির চেয়ারম্যান মোনায়েম হোসেনসহ ২০-২৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

আশাশুনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার নাথ বলেন, নজরুল মেম্বরের দখলে থাকা ঘের প্রতিপক্ষ দখল করতে গেলে দায়ের কোপে একজন নিহত হয়েছেন। কিন্তু এখনো কেউ কোনো অভিযোগ দেননি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।