ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষার্থীর

রাজধানীর নাখালপাড়ায় রেললাইন পার হচ্ছিলেন এক যুবক। কথা বলছিলেন মুঠোফোনে। ট্রেন আসার শব্দ বা তাঁকে সতর্ক করতে আশপাশের মানুষের চিৎকার—কিছুই শুনতে পাননি তিনি। ছুটে আসা ওই ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেল তাঁর।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত এই যুবকের নাম মো. ওবায়দুল্লাহ। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে দ্বিতীয় সেমিস্টারে পড়তেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ওবায়দুল্লাহ মুঠোফোনে কথা বলতে বলতে নাখালপাড়ায় রেললাইন পার হচ্ছিলেন। তিনি হাতে থাকা আইসক্রিমও খাচ্ছিলেন। এ সময় কমলাপুর স্টেশনের দিক থেকে একটি ট্রেন আসতে থাকে। ওবায়দুল্লাহ বিষয়টি খেয়াল করেননি। তা বুঝতে পেরে আশপাশের লোকজন তাঁকে সরে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। কিন্তু তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি। একপর্যায়ে ট্রেনটি তাঁকে ধাক্কা দিয়ে চলে যায়। তাঁর নিথর দেহ রেললাইনের পাশে পড়ে থাকে। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
ঢাকা রেলপথ থানার (জিআরপি) সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) রাশেদ রানা বলেন, সিলেটগামী জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় ওবায়দুল্লাহ মারা গেছেন। পকেটে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তাঁকে শনাক্ত করা হয়। তাঁর মাথা থেঁতলে গেছে, হাত ও পা ভেঙে যায় এবং শরীরের অন্যান্য অংশেও আঘাত লাগে।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর নূর মোহাম্মদ বলেন, ওবায়দুল্লাহ নাখালপাড়ায় থাকতেন। তাঁর গ্রামের বাড়ি যশোরের শার্শা উপজেলায়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। তাঁর বাবার নাম রফিকুল ইসলাম।