পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে স্ত্রীকে হত্যা

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার সরিষা ইউনিয়নের বহলাডাঙ্গা গ্রামের একটি পুকুর থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকালে এক নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীর নাম চাঁদনী খাতুন (১৮)। তিনি বাঘারচর গ্রামের বিপ্লব মণ্ডলের (২৪) স্ত্রী। এ ঘটনায় পুলিশ বিপ্লবকে আটক করেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, চাঁদনীর বাবার বাড়ি পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের বয়রাট গ্রামে। প্রায় নয় মাস আগে বিপ্লবের সঙ্গে চাঁদনীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিপ্লব কিছুদিন ঢাকায় ছিলেন। সম্প্রতি এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। আর্থিক অনটনের কারণে বিপ্লব তাঁর নানার বাড়িতে স্ত্রী নিয়ে সংসার করতেন। আজ ভোরে বিপ্লব ও চাঁদনী বাড়ির পাশে বহলাডাঙ্গা গ্রামের একটি পুকুরে গোসল করতে যান। সে সময় চাঁদনীকে পুকুরের পানিতে ডুবিয়ে হত্যা করেন বিপ্লব। হত্যার পর বিপ্লব একা বাড়ি ফিরে গিয়ে পোশাক পাল্টে ব্যাগ গুছিয়ে বাইরে যেতে উদ্যত হন। এতে বিপ্লবের নানার সন্দেহ হয়। তিনি নাতবউকে খুঁজতে গিয়ে পুকুরে লাশ দেখতে পান। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

সরিষা ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ হাফিজুর রহমান বলেন, বিপ্লব এই ঘটনার পর পালাতে যাচ্ছিলেন। তাঁকে মৌরাট ইউনিয়নের খামারডাঙ্গী গ্রামে বিপ্লবের সৎমায়ের বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (পাংশা সার্কেল) লাবীব আবদুল্লাহ বলেন, মরদেহ রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যাবে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে নিহত নারীর স্বামীকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।