রাজউকে এখন থেকে আবেদন শুধু অনলাইনে

রাজউকের ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদন অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
রাজউকের ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদন অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখছেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, দীর্ঘসূত্রতা আর হয়রানি অবসানে সহজীকরণের মাধ্যমে রাজউকে শুরু হলো দ্রুত সেবা পাওয়ার যুগান্তকারী পরিবর্তন। স্বচ্ছতা আনার ভিত্তি হিসেবে টেবিলে টেবিলে ধরনা দিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পরিবর্তে বাসায় কিংবা যেকোনো জায়গায় বসে নকশা অনুমোদনসহ ছাড়পত্র ও অন্যান্য সেবা অনলাইন নেওয়া যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) ভূমি ব্যবহার ছাড়পত্র ও নির্মাণ অনুমোদন অটোমেশন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম। মন্ত্রণালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘সারা দুনিয়া এখন গ্লোবাল ভিলেজে পরিণত হয়েছে। সারা দুনিয়া এখন হাতের মুঠোয়। এই হাতের মুঠোয় আনার পদ্ধতি বাংলাদেশে চালু করার স্বপ্ন দেখেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর নির্দেশনায় তাঁরই সুযোগ্য পুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় কার্যত বাংলাদেশকে আজ ডিজিটাল বাংলাদেশ পৌঁছে দিয়েছেন। মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন তোমার প্রথম কাজ হবে কর্মময় পরিবেশকে গতিশীল করা, স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা এবং জনবান্ধবে পরিণত করা।’

শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘রাজউকের সিটিজেন চার্টার বড় হরফে টানানো থাকবে। সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কী কী স্তরে নাগরিকদের সুবিধা দেওয়া আছে, সেটা তাঁকে জানতে হবে। যাঁরা কিছু বোঝেন না, তাঁদের জন্য হেল্প ডেস্ক থাকবে। রাজউকের আটটি জোনের প্রতিটিতে বিশেষজ্ঞ দল থাকবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ই সব মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার আগে এই আটোমেশনের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে এবং কার্যকর করছে।’

সমসাময়িক রাজনীতির প্রসঙ্গ টেনে শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিও শুনতে হয়। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলছেন কর্ণফুলী টানেল, পদ্মা সেতু অপ্রয়োজনীয়। আমার কাছে মনে হয়, মানুষ যখন রাজনীতির চূড়ান্ত দেউলিয়াপনায় পৌঁছে যায়, তখন বোধ হয় নিজের অস্তিত্বের শিকড় এদিক-ওদিক, শূন্যে খোঁজে। দেউলিয়াপনার ভেতর থেকে বিএনপি বাংলাদেশের উন্নয়ন চোখে দেখে না।’

রাজউকের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশে গণপূর্তমন্ত্রী বলেন, ‘মানুষের ভালোবাসা পাওয়ার চেয়ে বিত্ত-বৈভব বড় নয়। চিত্তকে বিত্তবান করেন। নৈতিকতাকে বড় করেন, মূল্যবোধকে বড় করেন। আসুন আমরা সবাই মিলে শুধু দৃশ্যমান উন্নয়ন নয়, নীতি-নৈতিকতায়, মূল্যবোধে উন্নত হই।’

রাজউকের চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার। অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আখতার হোসেন এবং মো. ইয়াকুব আলী পাটওয়ারী, রাজউকের সদস্য ও অন্য কর্মকর্তারা।