সমুদ্রপথে নিরাপত্তা বাড়াতে সহযোগিতার আশ্বাস যুক্তরাষ্ট্রের

সন্ত্রাসবাদ দমনে সহায়তা বাড়ানোর পাশাপাশি সমুদ্রপথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার ঢাকায় অনুষ্ঠিত দুই দেশের সপ্তম নিরাপত্তা সংলাপে সমুদ্রপথে মানব পাচার ও চোরাচালান রোধ এবং অপরাধীদের বিচরণ ঠেকাতে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র সম্মিলিতভাবে কাজ করতে রাজি হয়েছে। 

বৈঠকে অংশ নেওয়া বাংলাদেশের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কথা বলে জানা গেছে, সন্ত্রাসবাদ দমন, সামুদ্রিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা এবং দুর্যোগ মোকাবিলায় সহযোগিতার পাশাপাশি অবাধ ও উন্মুক্ত ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের পরিকল্পনার বিষয়টি বড় পরিসরে আলোচনা হয়েছে।

নিরাপত্তা সংলাপ শেষে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রচারিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দুই দেশের সামরিক বাহিনীর সহযোগিতা, নিরাপত্তা সহযোগিতা, সন্ত্রাসবাদের পাশাপাশি সহিংস উগ্রপন্থা দমনের প্রসঙ্গও আলোচনায় এসেছে। দুই পক্ষ সন্ত্রাসবাদ দমন এবং বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তার বিষয়ে সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান, সন্ত্রাসবাদ দমনে বাংলাদেশের সামর্থ্য বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র তহবিল বাড়ানোর বিষয়টি সংলাপে উল্লেখ করেছে। এর পাশাপাশি প্রয়োজনীয় রসদ সরবরাহের পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুক্তরাষ্ট্রে পালিয়ে থাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনিদের অন্যতম রাশেদ চৌধুরীকে ফিরিয়ে দিতে অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ।
আলোচনায় রোহিঙ্গা সমস্যাটিকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বহুমাত্রিক সংকট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজেদের ভূ-খণ্ডে মর্যাদার সঙ্গে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন মেঘনায় অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক ফেরদৌসি শাহরিয়ার বাংলাদেশের এবং রাজনৈতিক সামরিক বিষয়ক উপসহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইকেল এফ মিলার যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন।