আজমল হলে শিক্ষার্থীদের ব্যানার পোড়াল স্থানীয়রা

আজমল হোসেন হলে ব্যানার টাঙিয়ে দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয় লোকজন ওই ব্যানার সরিয়ে ফেলে। ছবি: ফোকাস বাংলা
আজমল হোসেন হলে ব্যানার টাঙিয়ে দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরে স্থানীয় লোকজন ওই ব্যানার সরিয়ে ফেলে। ছবি: ফোকাস বাংলা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বেদখলে থাকা পাটুয়াটুলী এলাকায় আজমল হোসেন হল আজ রোববার উদ্ধার করার দাবি করেছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। দুপুর ১২টার দিকে হল উদ্ধার সংগ্রাম পরিষদের পক্ষ থেকে সেখানে ব্যানার টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তবে ব্যানার লাগানোর কয়েক মিনিটের মধ্যেই তা ছিঁড়ে আগুনে পুড়িয়ে দেয় স্থানীয় লোকজন।
হল উদ্ধার সংগ্রাম পরিষদের সদস্যসচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম দাবি করেন, শান্তিপূর্ণভাবে আজমল হোসেন হল উদ্ধার করেছেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটনস্থলে থাকা পুলিশের লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাটুয়াটুলী এলাকার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যাতে সংঘর্ষ না হয়, তাই সব শিক্ষার্থীকে যেতে দেওয়া হয়নি। হলে ব্যানার লাগাতে সহায়তা করেছে পুলিশ।’

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল ১০টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হল উদ্ধার সংগ্রাম পরিষদ। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কয়েক হাজার শিক্ষার্থী মিছিল নিয়ে আজমল হোসেন হল দখল করতে রওনা হন। মিছিলটি সদরঘাটের ওভারব্রিজ এলাকায় গেলে পুলিশ এতে বাধা দেয়। দুপুর ১২টার দিকে পুলিশের অনুমতি নিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল আজমল হোসেন হলের সামনে যায়। কিন্তু স্থানীয় ব্যবসায়ীরা হলে ব্যানার টাঙাতে বাধা দেন। পরে পাশের ভবনে ব্যানার টাঙিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। তবে কয়েক মিনিটের মধ্যেই ওই ব্যানার ছিঁড়ে আগুনে পুড়িয়ে ফেলেন স্থানীয় লোকজন।
এদিকে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেদখল থাকা হল উদ্ধার ও শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আবাসনের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো কর্মবিরতি পালন করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। দাবি আদায়ে আজ দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমিতি।
বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পরিমল বালা সাংবাদিকদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সব বিভাগের শিক্ষকেরা কর্মবিরতি পালন করছেন। আর দুপুরের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ছাত্রসংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠনকে সঙ্গে নিয়ে ‘অধিকার মঞ্চ’ করা হবে। মঞ্চ বসানো হবে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মোহাম্মদ সেলিমের দখলে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তিব্বত হল দখল করতে গেলে গত রোববার পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ হয়। এতে প্রায় ৩০০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী আহত হন। এ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকায় লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার হারুন অর রশিদ ও কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামানকে প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।