খুলনায় জোয়ারের পানির উচ্চতা কয়েক ফুট বেড়ে গেছে

খুলনার উপকূলীয় দাকোপ ও কয়রা অঞ্চলে আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করেছে।
খুলনার উপকূলীয় দাকোপ ও কয়রা অঞ্চলে আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করেছে।

খুলনার উপকূলীয় এলাকা দাকোপ ও কয়রা অঞ্চলে আবহাওয়া পরিস্থিতির অবনতি হতে শুরু করেছে। আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার আগ পর্যন্ত সেখানে রোদ ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে জোয়ারের পানি স্বাভাবিক উচ্চতার চেয়ে কয়েক ফুট বেড়ে গেছে। এতে কয়রার কিছু জায়গায় বাঁধ উপচে লোনা পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ আটকে পানি ঠেকানোর চেষ্টা করছে।

জেলা প্রশাসন থেকে গতকাল রাতের মধ্যে ওই অঞ্চলের মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বলেছিল। তবে ঝড়ের আলামত দেখতে না পাওয়ায় অনেকেই সেখানে যায়নি। তবে সাড়ে ১১টার দিকে মানুষ আবহাওয়ার পরিবর্তন দেখে আতঙ্কিত হয়ে মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রের দিকে ছুটছে।

খুলনার সর্বশেষ জনবসতি অঞ্চল কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি এলাকার ৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ এর মধ্যে জড়ো হতে শুরু করেছে।

দক্ষিণ বেদকাশীর ইউনিয়নের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির টিম লিডার মো. মশিউর রহমান বলেন, সকাল থেকে আবহাওয়া ভালো থাকায় মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছিল না। আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করলে মানুষ সাইক্লোন সেন্টারে যাচ্ছে। বিশেষ করে নারী, বৃদ্ধ ও শিশুদের জরুরি ভিত্তিতে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

নয়টি আশ্রয় কেন্দ্র এরমধ্যে মানুষে ভরে গেছে। দাকোপের উপকূলীয় এলাকায় পরিস্থিতি একই রকম।

ওই এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ ঠেকাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন।

খুলনা আবহাওয়া কার্যালয়ের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ আমিরুল আজাদ বলেছেন, ‘ফণী ঘূর্ণিঝড়টি এখন মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। আজ মধ্যরাত নাগাদ এটা খুলনার উপকূল এলাকা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে ইতিমধ্যে আবহাওয়া অবনতি হতে শুরু করেছে। দুপুর নাগাদ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’