কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে চারজনের মৃত্যু

বজ্রপাত। ফাইল ছবি
বজ্রপাত। ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জে মিঠামইন, ইটনা ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে শিশুসহ চারজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে মিঠামইনের কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের হাওর থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সুমন মিয়া নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শিশুটির সঙ্গে থাকা গরুটিও মারা যায়। এ ছাড়া হাওরে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মো. মহিউদ্দিন (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রাম-সংলগ্ন হাওরে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মহিউদ্দিনের মৃত্যু হয়। সুমন মিয়া কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে এবং মহিউদ্দিন বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে।

ইটনা উপজেলায় কৃষিকাজ শেষে হাওর থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে রুবেল দাস (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রাম সংলগ্ন হাওরে বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে। রুবেল ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে। বজ্রপাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া পাকুন্দিয়ায় গরুর জন্য ঘাস কাটতে গিয়ে বজ্রপাতে আসাদ মিয়া (৪৫) নামের এক কৃষক মারা গেছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় লোকজন জানান, আসাদ মিয়া শুক্রবার দুপুরে বাড়ির সামনের জমিতে ঘাস কাটছিলেন। এ সময় বৃষ্টি শুরু হলে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।