কিশোরগঞ্জে বজ্রপাতে ছয়জনের মৃত্যু

বজ্রপাত। ফাইল ছবি
বজ্রপাত। ফাইল ছবি

কিশোরগঞ্জে মিঠামইন, ইটনা ও পাকুন্দিয়া উপজেলায় বজ্রপাতে শিশুসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টির সময় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর ১২টার দিকে মিঠামইনের কেওয়ারজোড় ইউনিয়নের কুড়ারকান্দি গ্রামের হাওর থেকে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে সুমন মিয়া নামে সাত বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় শিশুটির সঙ্গে থাকা গরুটিও মারা যায়। এ ছাড়া হাওরে বোরো ধান কাটার সময় বজ্রপাতে মো. মহিউদ্দিন (২২) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের বিরামচর গ্রাম-সংলগ্ন হাওরে বজ্রপাতে ঘটনাস্থলেই মহিউদ্দিনের মৃত্যু হয়। সুমন মিয়া কুড়ারকান্দি গ্রামের এবাদ মিয়ার ছেলে এবং মহিউদ্দিন বিরামচর গ্রামের মো. গোলাপ মিয়ার ছেলে।

ইটনা উপজেলায় কৃষিকাজ শেষে হাওর থেকে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে রুবেল দাস (২৬) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রাম সংলগ্ন হাওরে বজ্রপাতে এ ঘটনা ঘটে। রুবেল ধনপুর ইউনিয়নের কাঠুইর গ্রামের রাকেশ দাসের ছেলে। বজ্রপাতে গুরুতর আহত হওয়ার পর স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে ইটনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মুর্শেদ জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া পাকুন্দিয়ায় বজ্রপাতে আরও তিনজন মারা গেছেন। তাঁরা হলেন, পজেলার সুখিয়া ইউনিয়নের কোষাকান্দা গ্রামের কৃষক আসাদ মিয়া (৪৫), চরফরাদি ইউনিয়নের আলগীরচর গ্রামের আবদুল হালিমের মেয়ে নুরুন্নাহার (৩০) ও একই এলাকার এন্তাজ আলীর ছেলে মুজিবুর (১৭)। পাকুন্দিয়া থানার ওসি মোহাম্মদ ইলিয়াস ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।