নোয়াখালীতে ফণীর প্রভাবে ঝড়, ঘরচাপায় শিশুর মৃত্যু

নোয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে সৃষ্ট ঝোড়ো বাতাসের আঘাতে বিধ্বস্ত ঘরের নিচে চাপা পড়ে ১৩ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরওয়াপদা ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের চর আমিনুল হক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিশুর নাম মো. ইসমাইল। এ ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে। শতাধিক বসতঘর কিধ্বস্ত হয়েছে। ঝড়ে অনেক গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঝড়ে হতাহত হওয়ার তথ্যের সত্যতা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন জেলা দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা মো. হামিদুল হক। আজ শনিবার সকাল পৌনে সাতটার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে তিনি বলেন, রাতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে সুবর্ণচরের চর আমিনুল হকে এক শিশু মারা গেছে। আহত কমপক্ষে ২৫ জন। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা সদরে জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া ঝড়ে শতাধিক ঘর বিধ্বস্ত হয়েছে।

ঝড়ে নিহত ইসমাইলের চাচা মো. জহির প্রথম আলোকে বলেন, রাত সাড়ে ১০টার দিকে আকস্মিক ঝড় শুরু হয়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁর ভাই আবদুর রহমানের বসতঘরসহ আশপাশের বাড়ির অনেকের ঘর দুমড়ে যায়। বিধ্বস্ত ঘরের নিচে শিশু ইসমাইলকে বুকে নিয়ে চাপা পড়েন তাঁর ভাইয়ের স্ত্রী ইয়াছমিন (২২)। ইয়াছমিনকে উদ্ধার করা গেলেও বাঁচানো যায়নি ইসমাইলকে। মায়ের বুকেই ছেলেটি মারা গেছে।

জহির জানান, ঝড়ে ঘরের নিচে চাপা পড়ে শিশু ইসমাইলের মা ইয়াছমিনও গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ইয়াছমিনের স্বামী আবদুর রহমান ইটভাটায় কাজ করেন। ঝড়ের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না বলে জানিয়েছেন জহির।

ফণীর প্রভাবে গতকাল প্রায় সারা রাতই জেলার সব জায়গায় বৃষ্টি হয়েছে। মাঝরাতের পর থেকে সকালে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত জেলা শহর মাইজদীসহ বিভিন্ন এলাকার ওপর দিয়ে থেমে থেমে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জেলা শহরসহ প্রায় সব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় লোকজন ঘর থেকে বের হতে পারছে না।