নির্বাচন কাল, মেয়র পদে ভোট নেই, তাই আগ্রহ কম

সিটি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের প্রশিক্ষণ চলছে। গতকাল নগরের রামবাবু সড়কের সিটি কলেজে।  ছবি: প্রথম আলো
সিটি নির্বাচনে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণের প্রশিক্ষণ চলছে। গতকাল নগরের রামবাবু সড়কের সিটি কলেজে। ছবি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের কাঙ্ক্ষিত প্রথম নির্বাচন কাল রোববার। তবে মেয়র পদে একক প্রার্থী হওয়ায় এই নির্বাচন জৌলুশ হারিয়েছে। কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন ভোটারদের ভোটকেন্দ্রমুখী করতে। শেষ পর্যন্ত তাঁরা কতটা সফল হবেন তা দেখা যাবে কাল।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের মোট ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১১টি সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডে মোট কাউন্সিলর প্রার্থী ২৪২ জন। আর সংরক্ষিত ১১টি ওয়ার্ডে নারী প্রার্থী ৭০ জন। গত ১৮ এপ্রিল প্রতীক বরাদ্দ পাওয়ার পর থেকে প্রার্থীরা নিজেদের ওয়ার্ডে ব্যাপকভাবে জনসংযোগ করে আসছেন। কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা ভোটার উপস্থিতি নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী।

মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইকরামুল হক ইতিমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। মেয়র পদে জাতীয় পার্টির প্রার্থী ছিলেন জাহাঙ্গীর আহমেদ। তিনি গত ১৭ এপ্রিল নিজের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন। এর আগে মনোনয়নপত্রে ত্রুটি থানায় তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হয়ে যায়।

ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন ওয়ার্ডের সাধারণ ভোটারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় মেয়র নির্বাচিত হয়ে যাওয়ায় তাঁদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার আগ্রহ কম। তবে কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা ও তাঁদের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন। কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরা ভোটার উপস্থিতির জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে ব্যাপক গণসংযোগ করেছেন। অনেক প্রার্থী ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতি আশা করছেন। আবার গতকাল শুক্রবার থেকে আবহাওয়া প্রতিকূল হয়ে উঠেছে। এ অবস্থা অব্যাহত থাকলে রোববার ভোটার ভোটকেন্দ্রমুখী হবেন কি না তা নিয়ে কেউ কেউ শঙ্কায় ভুগছেন।

ভোটাররা বলছেন, ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কাউন্সিলর প্রার্থীরা কিছুদিন ধরে ব্যাপকভাবে প্রচারণা চালিয়েছেন। এসব প্রচারণায় প্রার্থীরা উন্নয়নের ব্যাপক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বর্তমান কাউন্সিলর প্রার্থীরা নিজেদের সময়ের উন্নয়নকাজের ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন প্রচারণায়। সদ্য বিলুপ্ত ময়মনসিংহ পৌরসভা ২১টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত ছিল। সিটি করপোরেশনে নতুন করে এলাকা যুক্ত হওয়ায় মোট ৩৩টি ওয়ার্ড করা হয়েছে। নতুন ওয়ার্ডগুলোর নাগরিক সুবিধা আছে নামমাত্র। কোনো কোনো ওয়ার্ডে নেই ন্যূনতম নাগরিক সুবিধা। নতুন যুক্ত হওয়া ওয়ার্ডগুলোতে কাউন্সিলর পদে প্রার্থীর সংখ্যা বেশি। ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে মোট প্রার্থী ১৮ জন। ২৯ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদপ্রার্থী ১৪ জন। ২৫ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থীর সংখ্যা ১৩।

ভোটার উপস্থিতি প্রসঙ্গে ২৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী শাহজাহান কবীর আকন্দ বলেন, এটি নতুন একটি ওয়ার্ড। সে বিবেচনায় এ ওয়ার্ডের ভোটারদের মধ্যে সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ আছে। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন বলে তিনি মনে করছেন।

৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সৈয়দ শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করার জন্য আমি ব্যাপকভাবে কাজ করেছি। আশা করছি, ভোটের দিন দলে দলে ভোটাররা ভোট দিতে যাবেন।’