মোংলা বন্দরে পণ্য খালাস কাল থেকে

ঘূর্ণিঝড় ফণী দুর্বল হয়ে পড়ায় আবহাওয়া স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। মোংলা বন্দরে জেটি, কনটেইনার ও কার ইয়ার্ডে কাজ শুরু হয়েছে। কাল রোববার থেকে শুরু হবে পণ্য পরিবহন ও খালাসের কাজ। মোংলা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।

মোংলায় আজ দুপুর থেকে আকাশ কিছুটা মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও মাঝে মধ্যে রোদ উঠতে দেখা গেছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার নুরুল হুদা বলেছেন, তেমন দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া না থাকায় শনিবার দুপুর হতে বন্দর জেটি, কন্টেইনার ও কার ইয়ার্ডে কাজ শুরু হয়েছে। কাল সকাল থেকে বন্দরে বিদেশি জাহাজের চলাচল ও পণ্য বোঝাই-খালাস এবং পরিবহন কাজ শুরু হবে। এ ছাড়া মোংলা বন্দর জেটিতে আশ্রয় নেওয়া নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজগুলো চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার প্রস্তুতি চলছে।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আজ ভোর রাতের ঝড়ে মোংলার সবচেয়ে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ কানাইনগর, কাটাখালী, সুন্দরতলা, জয়মনি, চিলা এলাকার বেশ কিছু কাঁচাঘর বাড়ি ও গাছপালা বিধ্বস্ত হয়েছে। মিঠাখালী ইউনিয়নের আন্ধারিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়েছে। প্রচণ্ড বাতাসের কারণে রাত থেকে বন্দর, পৌর ও উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ ছিল। বেলা ৩টায় দিক বিদ্যুৎ সংযোগ চালু হয়।

আজকের জোয়ারে পশুর নদীতে পানির উচ্চতা ও চাপ বৃদ্ধি পাওয়া কানাইনগর বেড়ি বাঁধটি কিছুটা ভাঙতে থাকায় সেটি চরম ঝুঁকিতে রয়েছে। বাঁধের কয়েক জায়গায় বড় ধরনের ভাঙন ধরায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা মো. নাহিদুজ্জামান বলেন, সতর্ক সংকেত কমে যাওয়ায় এবং কোনো ধরনের ঝড়-বৃষ্টি না হওয়ায় দুপুর থেকে আশ্রয়কেন্দ্র থেকে লোকজন বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। তিনি আরও জানান, মোংলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে কানাইনগর, চিলা, জয়মনি এলাকায় যাদের কাঁচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে তাদের ত্রাণ সহায়তা ও সরকারি অনুদান দেওয়া হবে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত কানাইনগর বেড়ি বাঁধ মেরামতের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি দ্রুত সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।