স্কুলছাত্রীকে হোটেলে আটকে রেখে ১০ দিন ধরে ধর্ষণ

বান্দরবানের রোয়াংছড়ির নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অপহরণের পর জেলা শহরের একটি হোটেলে আটকে রেখে ১০ দিন ধরে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উশৈসিং মারমা (২৫) নামের এক ব্যক্তিকে গত শুক্রবার বান্দরবান শহরের বাসস্টেশন থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। পাশাপাশি ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকেও পুলিশ উদ্ধার করে। গতকাল শনিবার ওই ছাত্রীকে জেলার সদর হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়।

রোয়াংছড়ি থানার পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, গত ২৩ এপ্রিল রোয়াংছড়ি উপজেলা সদর থেকে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অভিযুক্ত উশৈসিং মারমা অপহরণ করে জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান। সেখানে ১০ দিন ধরে ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে তিনি ধর্ষণ করেন। শুক্রবার সেখান থেকে ছাত্রীকে নিয়ে কক্সবাজারে যাওয়ার সময় বান্দরবান বাসস্টেশন থেকে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। উশৈসিংয়ের বাড়ি একই উপজেলার ঘেরাউমুখপাড়ায়।

পুলিশের কাছে ওই ছাত্রী বলেছে, জেলা শহরতলির রামজাদিতে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে তাকে সরাসরি জেলা শহরের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যান উশৈসিং মারমা। সেখানে ওই ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ করেন। বিষয়টি কাউকে জানালে তাকে এবং মা-বাবাকে হত্যার হুমকি দেন তিনি।

রোয়াংছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেছেন, ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের মামলা করেছেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে উশৈসিং মারমাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সন্তানের সামনে মাকে ধর্ষণ

জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের এক নারীকে দুই ব্যক্তি তাঁর মা ও সন্তানদের সামনে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওই নারী বর্তমানে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গত বৃহস্পতিবার রাতে ঘরের দরজা ভেঙে দুই ব্যক্তি তাঁকে ধর্ষণ করেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন।

সদর হাসপাতালে ধর্ষণের শিকার ওই নারী প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী দীর্ঘদিন পরিবারের কোনো খোঁজ নেন না। মা ও দুই সন্তানকে নিয়ে তিনি একাই থাকেন। স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল জব্বার (৫০) ও শাহাজাহান (৩৫) নামের দুই ব্যক্তি তাঁর হাত-মুখ বেঁধে মা ও সন্তানের সামনেই তাঁকে ধর্ষণ করেছেন।

বান্দরবান সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) প্রত্যুৎপল ত্রিপুরা বলেন, ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। বিষয়টি নাইক্ষ্যংছড়ি থানা-পুলিশকে জানানো হবে।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেছেন, এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় এবং হাসপাতাল থেকে এখনো অবহিত না করায় তাঁরা ধর্ষণের বিষয়টি জানেন না। হাসপাতাল থেকে জানানো হলে অবশ্যই মামলা হবে।