চরে পুঁতে রাখা শিশুর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাটে খালের চরে পুঁতে রাখা ছয় বছরের এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে গ্রামবাসী। লামিয়া আক্তার ফারিয়া নামের প্রথম শ্রেণির ওই মাদরাসাছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে এক কিশোরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় লোকজন। রোববার সন্ধ্যায় বাগেরহাট সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পাতিলাখালী গ্রামে দিঘিরজান খালের চর থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

আটক কিশোর পিরোজপুর জেলার নামাজপুর গ্রামের বাসিন্দা। সে তার নানাবাড়ি পাতিলাখালী গ্রামে থেকে পড়ালেখা করছিল। চলতি বছর পাতিলাখালী মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে।


শিশু লামিয়া পাতিলাখালী ওমর আলী শেখের মেয়ে। সে স্থানীয় কোন্ডোলা বড়ুবিবি দাখিল মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্রী ছিল। রোববার বিকেল থেকে শিশুটি নিখোঁজ ছিল।
পুলিশ ও গ্রামবাসীর ধারণা, শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। পরে মরদেহ লুকাতে চরে মাটিচাপা দেওয়া হয়।


ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।


গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোল্লা হায়দার আলী রাতে এই প্রতিবেদককে বলেন, রোববার বিকেল থেকে লামিয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সন্ধ্যার কিছু আগে এক প্রতিবেশী জানান, আটক হওয়া ওই কিশোর লামিয়াকে কোলে তুলে নিয়ে বাড়ির পাশের একটি খাল পার হতে দেখেছেন। শিশু লামিয়া নিখোঁজের খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী ওই কিশোরকে খুঁজতে শুরু করে। এ সময় গ্রামবাসী দিঘিরজান খালের পাড়ে একটি গর্ত খোঁড়াও দেখতে পায়। পরে সেখান থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় বলেন, রোববার বিকেল থেকে শিশু লামিয়া আক্তার ফারিয়াকে তার পরিবারের সদস্যরা দেখতে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরে স্থানীয় গ্রামবাসী শিশুটিকে খুঁজতে নেমে তাদের বাড়ির পাশের খালের চরে পুঁতে রাখা অবস্থায় মরদেহটি উদ্ধার করে। শিশুটিকে হত্যায় জড়িত সন্দেহে তার নিকট আত্মীয়রা এক কিশোরকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। শিশুটিকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার পর নিহত হওয়ার কারণ জানা যাবে।