চট্টগ্রামে শুরু জামদানি মেলা

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী জামদানি প্রদর্শনী ও মেলার শুরুর দিনে দর্শনার্থীরা শাড়ি দেখছেন। গতকাল বিকেলে জে এম সেন মিলনায়তনে।  প্রথম আলো
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী জামদানি প্রদর্শনী ও মেলার শুরুর দিনে দর্শনার্থীরা শাড়ি দেখছেন। গতকাল বিকেলে জে এম সেন মিলনায়তনে। প্রথম আলো

কোথাও ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে পুরো শাড়ি। কোথাওবা ধাপে ধাপে সাজিয়ে রাখা হয়েছে থ্রিপিস ও পাঞ্জাবি। ক্রেতারা ঘুরে ঘুরে দেখছেন। পছন্দ হলেই কিনে নিচ্ছেন। চট্টগ্রাম নগরের জেএম সেন হল প্রাঙ্গণে দেখা গেছে এ চিত্র। গতকাল রোববার থেকে সেখানে শুরু হয়েছে জামদানি প্রদর্শনী ও মেলা। সপ্তাহব্যাপী মেলা চলবে আগামী শনিবার পর্যন্ত।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) এ মেলা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মেলায় ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের ১৭টি স্টল অংশ নিয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিসিকের প্রধান কার্যালয়ের বিপণন বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাহ নুরুজ্জামান। বিসিক, চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিচালক মো. মুসহীন কবির খানের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য দেন শিল্প সহায়ক কেন্দ্র, চট্টগ্রামের উপমহাব্যবস্থাপক এটিএম হামিদুল হক চৌধুরী।

বক্তারা বলেন, জামদানি বাংলাদেশের নিজস্ব সম্পদ এবং সুপ্রাচীন ঐতিহ্য। এই ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় বর্তমানে জামদানিশিল্প একটি ভালো পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। সামনে এই শিল্পের আরও প্রসার ঘটাতে সারা দেশের বড় শহরগুলোতে মেলার আয়োজন করা হবে।

মেলায় আসা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মেলায় ১ হাজার ২০০ থেকে ৮০ হাজার টাকা দামের শাড়ি পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ১৬০০ এবং থ্রিপিস বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকায়।

মেলায় জামদানি শাড়ি, থ্রিপিস ও পাঞ্জাবি নিয়ে আসা মনিয়া জামদানি হাউস নামের একটি প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. মনির হোসেন বলেন, তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে এসেছেন। তাঁর প্রতিষ্ঠানে ১০টি তাঁতের মাধ্যমে ২০ জন শ্রমিক সারা বছর কাজ করেন। সবগুলো পণ্যেই হাতে তৈরি। মেলার শুরুর দিন থেকে বেশ সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।