গৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার একটি গ্রামে গৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা বলে তরুণীকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় আজ মঙ্গলবার এক আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কারাগারে পাঠানো ওই আসামির নাম আকুল হোসেন। তাঁকে সোমবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয়।

ভুক্তভোগীর পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রতিবেশী ওই তরুণীকে গৃহকর্মীর কাজ দেওয়ার কথা বলে বাড়িতে ডাকেন স্থানীয় ব্যক্তি আকুল হোসেন। ওই তরুণী রোববার রাত আটটার দিকে আকুলের সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে যান। এ সময় তিনি কৌশলে তরুণীকে বাড়ির পাশে কলাবাগানে নিয়ে যান। সেখানে আকুলসহ পাঁচজন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করেন। রাতেই বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে আকুল হোসেনসহ পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। পরে আটক ব্যক্তিদের ওই তরুণীর মুখোমুখি করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তরুণী জানান, আকুল বাদে অপর চারজন যাদের আটক করা হয়েছে, তাঁরা দোষী নন। তবে দোষী চারজন এখনো আটক হয়নি। ফলে আটক চারজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের পর আকুল হোসেনকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের মামলা করেন ওই তরুণী। এই মামলায় গ্রেপ্তার করে আকুলকে বড়াইগ্রাম আমলি আদালতে হাজির করা হয়। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে নাটোর কারাগারে পাঠান।

বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দিলীপ কুমার বলেন, এই ঘটনায় থানায় ধর্ষণ মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আকুল হোসেনকে কোর্টের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শেষে দ্রুত সময়ের মধ্যে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এর আগে গত ১৩ এপ্রিল ওই উপজেলার একই গ্রামে এক গৃহবধূ গণধর্ষণের অভিযোগে রাজু আহমেদ (২০) ও চান মিয়া ফকির (২৮) নামে দুজ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।