মুঠোফোন চুরির অভিযোগ, হল থেকে বিতাড়িত ছাত্রলীগ নেতা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের এক নেতাকে মোবাইল ফোন চুরির অভিযোগে হল থেকে বের করে দিয়েছেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল থেকে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়।

ছাত্রলীগের ওই নেতার নাম কৌশিক রহমান ওরফে শিমুল। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগের ৪২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক ছাত্র।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই হলের কয়েকজন আবাসিক শিক্ষার্থী প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষ থেকে শাওমি ব্র্যান্ডের একটি মুঠোফোন চুরি হয়। একজন আবাসিক ছাত্র ওই চুরির ঘটনা দেখে ফেলেন। পরে হলের ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরা কৌশিক রহমানকে মুঠোফোনের চুরির বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি অস্বীকার করেন। এ সময় কৌশিকের কক্ষে মুঠোফোনের খোঁজে নেতারা গেলে তিনি কক্ষ থেকে বের হয়ে যান। পরে হলের ওয়াশরুমের কাছে গিয়ে কৌশিক মুঠোফোনটি ফেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে নেতা-কর্মীরা তাঁকে হাতেনাতে ধরেন। এরপর রাত আড়াইটার দিকে কৌশিক রহমানকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে কৌশিক রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

অন্যদিকে এ ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি জুয়েল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ রকম কিছু তো শুনিনি। আমি তো জানতাম সে (কৌশিক রহমান) অসুস্থ। তাই তাকে চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাতে। যদি চুরির ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ ফরিদ আহমেদ বলেন, ‘এ রকম একটি ঘটনা শুনেছি। খোঁজখবর নিচ্ছি। যদি সত্যিই চুরির ঘটনা ঘটে থাকে, তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘যারা তাকে হল থেকে বের করে দিয়েছে, সেটাও নিয়মবহির্ভূত। কোনো শিক্ষার্থী অন্য শিক্ষার্থীকে হল থেকে বের করে দিতে পারে না। যারা তাকে হল থেকে বের করে দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন উল্লেখ করে বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে (এ বিষয়ে) ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’