গুলশানের শাহজাদপুরে বাসচাপায় এক নারী নিহত, কারাগারে ঈগল পরিবহনের চালক

গুলশানের শাহজাদপুরে বাস চাপা দিয়ে এক নারীকে মেরে ফেলার ঘটনায় গ্রেপ্তার ঈগল পরিবহনের বাসচালককে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালত এই আদেশ দেন। কারাগারে পাঠানো বাসচালকের নাম রিপন (৩৫)।

গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে আটটার দিকে গুলশানের শাহজাদপুর এলাকায় বাসচাপায় নিহত হন শাহিনা আক্তার (৪০) নামের এক নারী। এ ঘটনায় নিহত শাহিনার মামা মোজাফফর হোসেন বাদী হয়ে গতকাল গুলশান থানায় মামলা করেন। বাস চাপা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা চালক রিপনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হোসেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা প্রথম আলোকে বলেন, বাস চাপা দিয়ে শাহিনা নামের ওই নারীকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন বাসচালক রিপন। রিপনের ড্রাইভিং লাইসেন্স আছে বলে জানা গেছে। ঘটনার কথা স্বীকার করায় আসামিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়নি।

কীভাবে বাসচালক রিপন শাহিনাকে চাপা দেন, সে ব্যাপারে আদালতে লিখিত এক প্রতিবেদন জমা দিয়েছে গুলশান থানার পুলিশ। পুলিশের প্রতিবেদন বলছে, শাহজাদপুর জামালপুর টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন শাহিনা আক্তার। এ সময় বাড্ডার নতুন বাজারের দিক থেকে আসা ঈগল পরিবহনের বাসটি শাহিনাকে ধাক্কা দিলে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এমন অবস্থায় চালক রিপন শাহিনার শরীরের ওপর দিয়ে বাস চালিয়ে দেন। তখন গাড়ির চাকায় পিষ্ট হন শাহিনা। গুরুতর জখম শাহিনাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে সিএমএইচ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শাহিনাকে মৃত ঘোষণা করেন।

তদন্ত কর্মকর্তা হোসেন মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা জানান, শাহিনা একজন গৃহিণী। তাঁর স্বামী বিদেশে থাকতেন। সম্প্রতি তিনি দেশে এসেছেন। এক ছেলেকে নিয়ে শাহিনা শাহজাদপুর এলাকায় থাকতেন।

এর আগে গুলশান থানা এলাকায় গত ১৯ মার্চ বাসচাপায় বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের (বিইউপি) ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী মারা যান। একই দিন সুপ্রভাত পরিবহনের ওই বাসটি শাহজাদপুরে কলেজছাত্রী সিনথিয়া সুলতানাকে চাপা দিয়ে গুরুতর জখম করে।