সরকারের নজর বাজারে নেই, আছে লুটপাটে: রিজভী

রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি
রুহুল কবির রিজভী। ফাইল ছবি

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম প্রতিদিন বাড়ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তাঁর অভিযোগ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে।

আজ বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়। আজ তাঁর বক্তব্যের বড় অংশজুড়ে ছিল দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, রমজান মাসে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। নিত্যপণ্য কিনতে গিয়ে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন ক্রেতারা। মানুষের জীবনে নাভিশ্বাস উঠেছে। স্বল্প আয়ের মানুষ রমজানে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।

রিজভী বলেন, সংবাদ সম্মেলনে বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়বে না—এমন ঘোষণার পরদিন থেকেই হু হু করে দাম বেড়েছে প্রায় সব পণ্যের। বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে গড়ে তিন থেকে চার গুণ। অন্যদিকে, বর্তমান সরকার দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ না করে প্রমাণ করেছেন নাগরিক সেবায় তারা ব্যর্থ। নিত্যপণ্যের সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির পেছনে যৌক্তিক কারণ না থাকার পরেও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বমুখী, যে কারণে সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট আরও বেড়ে গেছে।

রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য, ‘বাজারে সরকারের কোনো নজরদারি নেই। তাদের নজর লুটপাটে।’

বিএনপি নেতা রিজভী বলেন, রোজার মাসের জন্য ঢাকা সিটি করপোরেশন গরু ও খাসির গোশতের দাম কেজিপ্রতি যথাক্রমে ৫২৫ ও ৭৫০ টাকায় বেঁধে দিয়েছে। তবে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গরুর গোশত প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৬০০ এবং খাসির গোশত ৮০০ টাকায়। ব্যবসায়ীরা এর কারণ হিসেবে অতিরিক্ত খাজনা ও সরকারি লোকজনের চাঁদা আদায়কে দায়ী করছেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, সাধারণ মানুষের প্রতি সরকারের কোনো দায় নেই। সরকার জিম্মি অসাধু সিন্ডিকেটের কাছে। বাজারের দুষ্টুচক্র সিন্ডিকেট এখন বাজার নিয়ন্ত্রণ করছে। কিন্তু সরকার তাদের নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। কারণ, বাজারের নিয়ন্ত্রকেরাই এখন সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করছে। গণতন্ত্র ধরাছোঁয়ার বাইরে, জনগণের ভোটের অধিকার হরণ শেষে এখন ভাতের অধিকার এবং ন্যায়বিচারের অধিকার কেড়ে নিতে তৎপর সরকার।

রিজভী বলেন, কোনো কিছুই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সরকার। বাজারদরের মতোই সরকারের ভেতর চলছে অস্থিরতা। সরকারের সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতির কারণেই দারিদ্র্যের দুষ্টচক্রে নিষ্পিষ্ট জনগণ।