নবাবগঞ্জে বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম পোড়াল ভ্রাম্যমাণ আদালত

দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে শ্যালো মেশিনসহ বালু উত্তোলনের সরঞ্জাম পুড়িয়ে দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। আজ বুধবার দুপুর ১টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত দুই ঘণ্টা ধরে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মশিউর রহমান।

উপজেলা ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার দোমাইল, লাউগাড়ি এবং কাঞ্চনডোবের চারটি স্থানে পুকুর খনন করে বালু উত্তোলন করা হচ্ছিল। এতে করে ফসলি জমি, সড়ক ও বাঁধ ধসে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় ওই এলাকার ভুক্তভোগীরা ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযোগ দেয়। অভিযোগ পেয়ে ইউএনও মশিউর রহমান পুলিশ এবং ভূমি কার্যালয়ের কর্মচারীদের নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন।

সরেজমিনে দেখা যায়, পুকুর খনন করে শ্যালো মেশিনচালিত যন্ত্র দিয়ে বালু তোলা হচ্ছে। কাঞ্চনডোবে বালু উত্তোলনের ফলে করতোয়া নদীর শাখার পাশের বাঁধ হুমকিতে পড়েছে। এসব স্থান থেকে বালু উত্তোলনের পর ট্রাক্টরে করে বালু পরিবহনের ফলে কাঁচা সড়কগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ বালু উত্তোলনকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে ইউএনও মো. মশিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ও ভূমি কার্যালয়ের কর্মচারীদের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল নিয়ে অভিযানে যান। বালু উত্তোলনের শ্যালো ও অন্যান্য সরঞ্জাম পুড়িয়ে দেন। অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীরা পালিয়ে গেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।