দুর্ঘটনাকবলিত যাত্রীদের ছাড়াই ফিরেছে বিশেষ ফ্লাইট

বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ছিটকে যাওয়ায় বিমানটির একাংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ছবি: এএফপি
বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়ে ছিটকে যাওয়ায় বিমানটির একাংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরের রানওয়েতে ছিটকে পড়া বিমানে আহত ১৪ জন যাত্রী এখনো হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। আহত বাকি চার যাত্রী চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তবে দুর্ঘটনাকবলিত কোনো যাত্রীকে দেশে ফেরত আনা সম্ভব হয়নি। তাঁদের ছাড়াই বিমানের বিশেষ ফ্লাইটটি আজ বৃহস্পতিবার ভোরে ঢাকায় ফেরত এসেছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ (জনসংযোগ) প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ১৭ জন যাত্রী নিয়ে বিশেষ ফ্লাইটটি ফিরে এসেছে আজ ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে। এঁরা অপেক্ষমাণ যাত্রী ছিলেন। অন্যদিকে, যাঁরা দুর্ঘটনায় পড়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ১৪ জন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বাকি চারজন ছাড়পত্র পেয়েছেন। এর বাইরে যাত্রীদের মধ্যে অনেকে মিয়ানমার বা অন্য দেশের নাগরিক আছেন। অনেকে সেখানে ব্যবসা করেন। তবে কতজন বিদেশি নাগরিক রয়েছেন, সে ব্যাপারে পরে তথ্য জানানো হবে বলে জানান তিনি।

দুর্ঘটনাকবলিত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের যাত্রীদের কেন ফেরত আনা গেল না, জানতে চাইলে শাকিল মেরাজ বলেন, অনেক আনুষ্ঠানিকতার বিষয় আছে। সেগুলো সম্পন্ন করে যদি তাঁরা আসতে চান, আনা হবে।

বাংলাদেশ সময় গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা ২২ মিনিটে ইয়াঙ্গুন বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বৈরী আবহাওয়ার কারণে রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে বাংলাদেশের ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ। ওই উড়োজাহাজে এক শিশুসহ ২৯ জন যাত্রী, দুই পাইলট ও দুজন কেবিন ক্রু ছিলেন। বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে উড়োজাহাজটি ঢাকা থেকে ইয়াঙ্গুনের উদ্দেশে উড্ডয়ন করেছিল। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১৮ জন। পরে দুর্ঘটনাকবলিত বিমানের যাত্রীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে রাত ১১টা ২৫ মিনিটে বিমানের বিশেষ ফ্লাইট মিয়ানমারের উদ্দেশে রওনা দেয়।