স্বামীর পরকীয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব, স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলার রঘুরামপুর এলাকা থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঝরনা বেগম নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গৃহবধূর পরিবারের দাবি, স্বামী শাহীন মালের পরকীয়ার জেরে ওই গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে।

ঝরনা-শাহীন দম্পতির দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে। বড় ছেলে বিদেশে থাকে, ছোট ছেলে স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়া শোনা করে এবং মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঝরনা বেগম ও শাহীন মালের বাড়ি একই এলাকায়। ২২-২৩ বছর আগে প্রেম করে বিয়ে করেন এই দম্পতি। ভালোই চলছিল তাদের দাম্পত্য জীবন। গত এক বছর আগে শাহীন পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। হাতাহাতির ঘটনাও ঘটত। গতকাল বুধবার রাতেও স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মারপিটের ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রতিবেশী বলেন, ঝরনার মৃত্যুর খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ বিছানার মধ্যে শোয়া অবস্থায় দেখা যায়। কীভাবে তাঁর মৃত্যু হয়েছে জানতে চাইলে ওই বাড়ি কয়েকজন জানান, গলায় ফাঁস দিয়েছিলেন গৃহবধূ। আবার কেউ জানান, গৃহবধূ ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

নিহতের বড় ভাই ইব্রাহিম বলেন, ঝরনা স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দিয়ে আসছিলেন। গত দুই মাস ধরে এ কারণে শাহীন তার বোনের ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন। রাতে বোনকে শাহীন ও তাঁর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছেন। হত্যার বিষয়টি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার কথা বলছেন শাহীনের পরিবারের লোকজন।

হাতিমারা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মো. আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, হত্যা না আত্মহত্যা—এটা বোঝা যাচ্ছে না। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বিষয়টি স্পষ্ট হবে।