৮ জুন ঐক্যফ্রন্ট ছাড়বেন কাদের সিদ্দিকী, যদি...

মতিঝিলে সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী। ছবি: প্রথম আলো
মতিঝিলে সংবাদ সম্মেলনে কাদের সিদ্দিকী। ছবি: প্রথম আলো

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে থাকা অসংগতি আগামী এক মাসের মধ্যে নিরসন করা না হলে তাঁর দল এই জোট ছেড়ে দেবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর মতিঝিলে দলের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।

কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘নির্বাচন পরবর্তী পর্যায়ে ঐক্যফ্রন্টকে সঠিকভাবে পরিচালনা করা যায়নি। বিশেষ করে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করার পর কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই সাতজন শপথ নিলেন । তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ঐক্যফ্রন্ট পরিচালনায় কেন দুর্বলতা? সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত কেন নেওয়া যাচ্ছে না? মোকাব্বির খানকে গেট আউট বলে কাউন্সিলে আবার তাঁকে পাশে বসিয়ে সভা করেন। এসব বিষয় মানুষের মনে প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আমরা আজকের সভায় সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, আগামী এক মাসের মধ্যে যে যে অসংগতি আছে তা সঠিকভাবে নিরসন করা না হলে ৮ জুন ঐক্যফ্রন্ট থেকে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করবে।’

সময় বেঁধে দেওয়ার আগে জোটের অন্য শরিকদের সঙ্গে অসংগতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে কাদের সিদ্দিকী জানান, সবার সঙ্গেই তিনি বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।

গত বছরের ১৩ অক্টোবর গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়। আর ৫ নভেম্বর তাতে যোগ দেয় কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ।

ঐক্যফ্রন্ট থেকে নির্বাচিতদের যে সাতজন শপথ নিয়েছেন তাদের নিন্দা জানান কাদের সিদ্দিকী। এই নেতা বলেন, যারা শপথ নিয়েছেন তারা মীর জাফরের চাইতেও বেশি নিন্দিত হিসেবে বিবেচিত হবেন।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমালোচনা করে কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচন পরবর্তী সময়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সঠিকভাবে চলতে পারেনি, চলেনি। নির্বাচনী সহিংসতার শিকার যারা হয়েছেন, তাদের পাশে ঐক্যফ্রন্ট সেভাবে দাঁড়াতে পারেনি। এ ছাড়া গত ৩০ এপ্রিল ফেনীর নুসরাত হত্যার প্রতিবাদে জোটের একটি জমায়েত হওয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল হয়।

বিএনপির শপথ নেওয়ার প্রসঙ্গ টেনে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘তথাকথিত’ নির্বাচিতরা শপথ নিলেন, কিন্তু বিএনপি মহাসচিব শপথ থেকে বিরত থাকলেন- এসব মানুষকে বিভ্রান্ত করে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জঘন্য নাটক হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, এ নির্বাচনে ভোটারদের ভোট দিতে হয়নি। স্থানীয় নির্বাচনেও মানুষ ভোট দিতে উৎসাহবোধ করেনি। তিনি বলেন, দেশে মানুষের জীবনের কোনো নিরাপত্তা নেই। ঘুম থেকে উঠলে দুঃসংবাদ ছাড়া সুসংবাদ প্রত্যাশা করা যায় না।