সুন্দরবনে থেমে নেই হরিণ শিকার

সুন্দরবনে থেমে নেই হরিণ শিকার। আজ বৃহস্পতিবার চোরা শিকারিদের কাছ থেকে হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে কয়রা থানা-পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন ৫ নম্বর কয়রা গ্রামের জালাল গাজী (৫০) ও জোড়শিং গ্রামের ওমর ফারুক (৩৫)। 

জানা গেছে, আজ সকাল ৯টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাটকাটা লঞ্চঘাট সংলগ্ন জামে মসজিদের সামনে থেকে দুই ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে কালো রঙের স্কুলব্যাগের ভেতর পলিথিনে মোড়ানো অবস্থায় ৫ কেজি হরিণের মাংস উদ্ধার করা হয়। পরে তাঁদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা হয়েছে।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়রা উপজেলায় পেশাদার হরিণ শিকারিদের আছে বিশেষ সিন্ডিকেট এবং তাঁদের সঙ্গে থাকে এজেন্ট ব্যবসায়ীরা। এসব এজেন্টের মাধ্যমে কখনো অগ্রিম অর্ডার আবার কখনো মাংস এনে তার পর বিক্রি করা হয়। তাঁরা বলেন, অফিসের উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তাদের খুশি করতে ও তদবির হিসেবেও হরিণের মাংস সরবরাহ করা হয়ে থাকে। এসব কারণেই প্রধানত লোকালয়ের অনেক লোকই হরিণ শিকারকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

হরিণ শিকারের ব্যাপারে জানতে চাইলে কয়রা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারক বিশ্বাস বলেন, হরিণ শিকার ও পাচার রোধে তাঁরা সব সময় সতর্ক রয়েছেন। বিভিন্ন সময় তাঁরা অভিযান চালিয়ে হরিণের মাংস ও চামড়া উদ্ধার করেছেন। হরিণের মাংস উদ্ধারের পর বন্যপ্রাণী নিধন আইনে মামলা করা হয়েছে।