দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য দুটি সুপারিশ

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীরা বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অনশন করেন। ঢাকা, ০৩ মে। ছবি: সংগৃহীত
দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীরা বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন কার্যালয়ের সামনে প্রতীকী অনশন করেন। ঢাকা, ০৩ মে। ছবি: সংগৃহীত

দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থায় পরীক্ষা নেওয়া এবং তাঁদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শ্রুতলেখক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির সভায় এই সুপারিশ করা হয়।

গত ৩১ মার্চ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) শ্রুতলেখক-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। তাতে বলা হয়, ৪০তম প্রিলিমিনারি পরীক্ষায় দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী পরীক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কর্ম কমিশন শ্রুতলেখক সরবরাহ করবে। পিএসসির এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত শুক্রবার ৪০তম বিসিএস পরীক্ষা বর্জন করেন দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁরা বলেছেন, পিএসসির পক্ষ থেকে শ্রুতলেখক দেওয়া হলে সেটা তাঁদের জন্য অসুবিধা হবে। তাঁরা এসএসসি, এইচএসসি পরীক্ষায় মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের নীতিমালা এবং স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পরীক্ষায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রুতলেখক-সংক্রান্ত নীতিমালা অনুযায়ী পরীক্ষা দিয়ে এসেছেন।

আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে বিষয়টি আলোচনায় আসে। পাশাপাশি সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীন ৪৫টি পদে নিয়োগ নিয়েও আলোচনা হয়।

বৈঠক শেষে কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন প্রথম আলোকে বলেন, সমাজসেবা অধিদপ্তরে রিসোর্স টিচার পদে ৪৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। শুধু প্রতিবন্ধীদের জন্য এই নিয়োগ করার প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু হঠাৎ করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এই পদগুলোতে সবাইকে আবেদনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, ব্রেইলে শিক্ষকতার এক বছরের অভিজ্ঞতা লাগবে। কমিটি ওই বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে শুধু প্রতিবন্ধীদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিতে বলেছে। আর দৃষ্টিপ্রতিবন্ধীদের ক্ষেত্রে শ্রুতলেখকের সহমর্মিতার বিষয়টি জরুরি। তাঁর বলেছেন, পিএসসির দেওয়া শ্রুতলেখকের সঙ্গে দৃষ্টি প্রতিবন্ধীরা স্বচ্ছন্দ বোধ করেন না। এ কারণে সংসদীয় কমিটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শ্রতলেখক নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করেছে।

রাশেদ খান মেননের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, মো. শিবলী সাদিক, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আ কা ম সরওয়ার জাহান, কাজী কানিজ সুলতানা ও আরমা দত্ত বৈঠকে অংশ নেন।