স্ট্যাচু অব লিবার্টির আদলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি তৈরি করা হবে: মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান

জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে ‘স্ট্যাচু অব লিবার্টি’র আদলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি তৈরি করবে সরকার।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মুজিব বর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বৃহস্পতিবার আয়োজিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ ‘মুজিব বর্ষ’ সর্বোচ্চ আয়োজনে উদযাপন করা হবে জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী বর্ণাঢ্য কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে। এ লক্ষ্যে সব মন্ত্রণালয়, সংস্থা ও দেশের স্বাধীনতার সপক্ষের সব শক্তি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা নিয়ে মুজিব বর্ষ উদযাপন করবে। সরকার এ উপলক্ষে স্ট্যাচু অব লিবার্টির আদলে জাতির পিতার প্রতিকৃতি তৈরি করবে।

উল্লেখ্য, স্ট্যাচু অব লিবার্টি হলো নিউইয়র্কে অবস্থিত একটি ভাস্কর্য। স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে পরিচিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি ভাস্কর্যটি মূল বেদিসহ ৩০৫ ফুট উঁচু। বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে ১৮৮৬ সালে এই ভাস্কর্য যুক্তরাষ্ট্রকে উপহার দেয় ফ্রান্স।

নিউইয়র্কের লিবার্টি আইল্যান্ডে অবস্থিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি। ছবি: রয়টার্স
নিউইয়র্কের লিবার্টি আইল্যান্ডে অবস্থিত স্ট্যাচু অব লিবার্টি। ছবি: রয়টার্স

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে মিত্রবাহিনীর সদস্যদের ৫০০ সন্তানকে বৃত্তির ব্যবস্থা করা হবে। তাদের বাছাই করার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতীয় হাইকমিশনকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি বলেন, পাকিস্তানি শোষক গোষ্ঠীর কবল থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতার ঋণ আমরা কোনো দিন শোধ করতে পারব না। জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপন হবে জাতীয় জীবনের এক অনন্য সুন্দর বিষয়।

জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশের আয়োজন করা হবে জানিয়ে মোজাম্মেল হক বলেন, বছরব্যাপী মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক জাতীয় দিবসগুলো উদযাপনে জাতির পিতার বর্ণাঢ্য জীবন ও কর্মকে অধিক গুরুত্ব প্রদান এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে মুজিব মেলার আয়োজন করা হবে।

সভায় বক্তব্য দেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব এস এম আরিফুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয় ও এর অধীন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় মুজিব বর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে লিবারেশন ওয়ার হিউম্যানিটি অ্যাওয়ার্ড প্রদানের লক্ষ্যে বাছাই কমিটি গঠন করা হয়।