মেয়াদোত্তীর্ণ মাংসে মেশানো হতো রক্ত!

মেয়াদোত্তীর্ণ গরুর মাংসকে তাজা বলে চালাতে মাংসে মেশানো হতো গরুর পুরোনো রক্ত। আর মহিষের মাংসকে বিক্রি করা হতো গরুর মাংস বলে। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গরুর মাংসের দোকানে এমন ঘটনা ধরা পড়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম এ কে এম শরিফুল হক ক্রেতা সেজে উপজেলার সড়ক বাজারে মাংসের দোকানগুলোতে অভিযান চালালে এ ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। এরপর ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে ছয়জন মাংসের দোকানের মালিককে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস জব্দও করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, সকালে নির্বাহী হাকিম এ কে এম হাকিম শরিফুল হক ক্রেতা সেজে সড়ক বাজার এলাকার সব গরুর মাংসের দোকান ঘুরে দাম এবং মান পর্যবেক্ষণ করেন। পরে আখাউড়া থানা-পুলিশ ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. রফিকুল ইসলামকে নিয়ে দোকানগুলোতে অভিযান চালান ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে দোকানগুলোর ফ্রিজ থেকে বোতলজাত করে রাখা গরুর পুরোনো রক্ত ও অপরিচ্ছন্ন পরিবেশে সংরক্ষিত মেয়াদোত্তীর্ণ মাংস জব্দ করা হয়। পরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মাংস সংরক্ষণ এবং গরুর নামে মহিষের মাংস বিক্রি ও মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৬টি মাংসের দোকানকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করে তৎক্ষণাৎ আদায় করা হয়।

আখাউড়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী হাকিম এ কে এম শরিফুল হক বলেন, পরে আবারও এসব অপরাধের প্রমাণ পাওয়া গেলে আরও কঠোর শাস্তির ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সতর্ক করা হয়েছে। সাধারণ ক্রেতাদেরও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।