মাশরাফি ইচ্ছা করে ভিডিও ভাইরাল করেননি: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান ফাইল ছবি
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান ফাইল ছবি

স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘মাশরাফি যে ডাক্তারের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন, সেটার ভিডিও ভাইরাল করা উচিত হয়নি। আমি এর সঙ্গে একমত না। একজন চিকিৎসককে যদি পাওয়া না যায়, সেটা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া ঠিক নয়। তবে ভিডিও ভাইরাল মাশরাফি ইচ্ছা করে করেননি।’

শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রতি কয়েকজন চিকিৎসককে কারণ দর্শানো নোটিশ সম্পর্কে মুরাদ হাসান বলেন, মাশরাফিকে নিয়ে আপনারা ফেসবুকে লিখেছেন। হয়তো ৫০ জন লিখেছেন। তাঁরাও আমাদের ভাই, আমাদের নেতার ছেলে, আমাদের নেতা। কিন্তু কিছু লেখা আমাদের অত্যন্ত কষ্ট দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ হয়েছেন। তিনি বলেছেন, তারা কারা, এভাবে অশ্লীল ভাষায় একজন সাংসদকে নিয়ে ফেসবুকে কটূক্তি করেন? তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাঁদের শোকজ করা হয়েছে। এটা এমন কিছু নয়, এ জন্য যে নাওয়া–খাওয়া, ঘুম হারাম হয়ে যাওয়ার মতো। এই কয়েকজনের জন্য আপনারা একই দোষে দোষী হতে চান? সবাই কি একই মানসিকতার? নোংরা ভাষায় যে স্ট্যাটাসগুলো দেওয়া হলো, সেটা কী সঠিক হয়েছে?

মানুষের সেবায় চিকিৎসকদের অবদানের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী মুরাদ হাসান বলেন, ‘চিকিৎসকেরা শ্রেষ্ঠ, তাঁরা মেধাবী। মানুষের কাছে তাঁদের স্থান ঈশ্বরের পর। অন্য সব পেশার লোকের মতো প্রতিবাদ আমরা করতে পারব না, বিপ্লব করতে পারব না। আমাদের ওপর মানুষের জীবন নির্ভর করে। অসহায় পীড়িত মানুষ আমাদের দিকে চেয়ে থাকেন, তাই আমাদের আরও ধৈর্য ধরতে হবে। সহ্য ক্ষমতা বাড়াতে হবে। আরও মানবপ্রেমী হতে হবে।’

চিকিৎসকদের সুযোগ-সুবিধার বিষয়ে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘চিকিৎসকদের জন্য অনেক কিছু করণীয় আছে, তা কাজের মাধ্যমে প্রমাণ করতে চাই। ফেসবুকে লিখে, তথাকথিত প্রতিবাদী, আন্দোলনকারী, বিদ্রোহী হয়ে নয়। ডাক্তারদের শ্রদ্ধা-সম্মান কীভাবে বাড়ানো যায়, ডাক্তারদের চিকিৎসা ক্ষেত্রে কীভাবে নিরাপত্তা দেওয়া যায়, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন কীভাবে দ্রুত করা যায়, তা নিয়ে কাজ করছি। এই পেশার সর্বোচ্চ সম্মান নিশ্চিত করতে আমি বদ্ধপরিকর।’

ইফতার মাহফিলে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) কেন্দ্রীয় সভাপতি মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মহাসচিব ইহতেশামুল হক চৌধুরী, সহসভাপতি শেখ সফিউল আলম। ইফতার মাহফিল সঞ্চালনায় ছিলেন বিএমএ চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক ফয়সল ইকবাল আর সভাপতিত্ব করেন বিএমএ চট্টগ্রামের সভাপতি মুজিবুল হক খান।

ইফতারের আগে প্রতিমন্ত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল ও জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। চমেক শাহ আলম বীর উত্তম মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায়ও তিনি বক্তব্য দেন। সব জায়গায় তিনি চিকিৎসকদের শ্রেষ্ঠ সন্তান হিসেবে উল্লেখ করে ধৈর্য ধারণের পরামর্শ দেন।