দুই আনা সোনার জন্য শিশুকে হত্যা!

নাটোরের সিংড়া উপজেলায় দুই আনা সোনার জন্য সুরজিনা খাতুন (১৯) নামের এক নারী তাঁর মামাতো বোনকে হত্যা করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খুন করে পালানোর সময় গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সুরজিনাকে সিংড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুপুরে সুরজিনাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ছাতারদিঘী ইউনিয়নের রামনগর গ্রামে। নিহত শিশুটির নাম জুঁই খাতুন (৯)। সে ওই গ্রামের হারেজ আলীর মেয়ে। জুঁই স্থানীয় পাচুপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।

সিংড়া থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে সুরজিনা খাতুন তাঁর প্রতিবেশী মামাতো বোন জুঁই খাতুনকে সঙ্গে করে চলনবিলে গোবর কুড়াতে যান। জুঁই ফিরে না আসায় বিকেলে তার বাবা হারেজ আলী সুরজিনার বাড়িতে যান। সেখানে গিয়ে দেখেন, বাড়িতে কেউ নেই। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে বিলের মধ্যে জুঁইয়ের গামছা পাওয়া যায়। পরে বিলের পানির ভেতর জুঁইয়ের মৃতদেহ পাওয়া যায়। এ সময় তার কানে ও নাকে থাকা দুই আনা ওজনের নাকফুল ও দুল পাওয়া যায়নি। এদিকে সুরজিনা খাতুন ভ্যানে করে গ্রাম থেকে পালিয়েছেন বলে জানতে পারেন জুঁইয়ের পরিবারের লোকজন। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় সুরজিনাকে সিংড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে সিংড়া থানায় হত্যা মামলা করা হয়। পুলিশ গতকাল সুরজিনাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই পলাশ বলেন, লাশটি উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সুরজিনা খাতুন পুলিশের কাছে সোনা চুরি করার জন্যই শিশুটিকে হত্যা করেছেন বলে স্বীকার করেছেন।