খেতে বসা শিশুকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ

মা খেতে দিয়ে পানি আনতে গিয়েছেন। ছয় বছরের শিশুটি বাড়ির সিঁড়িতে বসে খাচ্ছিল। সেখান থেকেই তাকে পাশের নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে মুখ চেপে ধর্ষণ করেন শিশুটির মায়ের চাচাতো ভাই ও প্রতিবেশী মিল্টন ফকির (২২)। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার একটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

বেসরকারি সংস্থা মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের হিসাবে চলতি মাসের প্রথম আট দিনে সারা দেশে ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪১টি শিশু। টুঙ্গিপাড়ায় আহত শিশুটিকে গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

শিশুটির মা জানান, তাঁর স্বামী বিদেশে থাকেন। মেয়েকে নিয়ে টুঙ্গিপাড়া সদরে থাকেন তিনি। চলতি মাসে মেয়েকে নিয়ে বাবার বাড়িতে যান। সেখানে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মেয়েকে খেতে দিয়ে পানি আনতে গিয়েছিলেন। একটু পরে এসে দেখেন মেয়ে নেই, খাবার পড়ে আছে। কিছুক্ষণ মেয়ের নাম ধরে ডাকাডাকি করেন মা। না পেয়ে বাড়ির বাইরে গিয়ে দেখেন শিশুটি পাশের নির্মাণাধীন ভবন থেকে আসছে। কিন্তু সে হাঁটতে পারছে না, কাঁপছে। অবস্থা দেখে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে ওঠেন মা। ‘মা আমাকে মিল্টন মামা...’ এটুকু বলেই মায়ের কোলে অচেতন হয়ে পড়ে শিশুটি।

গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সানোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় জিজ্ঞাসার জন্য চারজনকে আটক করা হয়েছে। মিল্টনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে এক তরুণীকে (১৯) ফাঁদে ফেলে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

পুলিশ জানায়, চার মাস আগে সালথা উপজেলার ওই তরুণীর সঙ্গে বোয়ালমারীর বনচাকী গ্রামের ইউসুফ শেখের (২০) সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর বিয়ে করার কথা বলে গত বুধবার মেয়েটিকে মনোদিয়া বাজারে ডেকে এনে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন ইউসুফ। পরের দিন বনচাকী গ্রামের আকমল বিশ্বাস (৩৫) ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন। কৌশলে মেয়েটি থানায় জানালে পুলিশ গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করে। অভিযুক্ত ইউসুফ, আকমল ও যে বাড়িতে আটকে রাখা হয়েছিল, তার মালিক মেহেদীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।