আ. লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার মাছ ঘাট দখল নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। দুই মামলায় উত্তর চর বংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যানসহ ১০৩ জনকে আসামি করা হয়। আজ রোববার দুপুরে রায়পুর থানা এ মামলা করা হয়েছে। 

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উত্তর চর বংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলতাফ ব্যাপারী ও চর বংশী গ্রামের আতাউল গনি বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন। একটি মামলার প্রধান আসামি করা হয় চর বংশী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবুল হোসেনকে। অন্যটির প্রধান আসামি করা হয় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর চর বংশী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন হাওলাদারকে।

গত শুক্রবার দুপুরে চরবংশী ইউনিয়নের মেঘনা নদীর চান্দার খালে মাছ ঘাট দখল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ১৫ জন আহত হন। সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উত্তর চর বংশী ইউপি আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আলতাফ হোসেন হাওলাদার ও উত্তর চর বংশী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ওসমান খাঁনের সমর্থক।

এর পরের দিন গতকাল শনিবার সকালে ওসমান খাঁনের অনুসারীরা আক্তার হোসেনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত ও জখম করেন। আক্তার একই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। এর জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে আটজন আহত হন।

আজ অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ওই ইউনিয়নের খাসেরহাটসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের নেতাসহ সংশ্লিষ্টদের শান্ত থাকার জন্য নির্দেশ দিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের উত্তর চর বংশী ইউনিয়ন কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ওই কমিটির সভাপতি ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন হাওলাদার। পরে ওসমান খাঁনকে আহ্বায়ক করে ৬ সদস্যের কমিটি ঘোষণা করে উপজেলা আওয়ামী লীগ। এর পর থেকে ওসমান খান ও আলতাফ হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াসহ মারামারির ঘটনা ঘটে।

আলতাফ হোসেন হাওলাদার বলেন, ‘ক্ষমতার দাপটে ওসমান খাঁনের অনুসারীরা আমাদের মাছের আড়ত ও নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এখন উল্টো তারা আমাদের নামে মামলা দিয়েছে। বিষয়টি আমি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি।’

ওসমান খাঁন বলেন, ‘আলতাফ হোসেনের লোকজন দুই দফায় হামলা চালিয়ে আমাদের ১০-১২ জন নেতা-কর্মীকে আহত এবং ৫-৬ জনের বাড়ি ভাঙচুর করেছেন। অন্যায়ভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করা হয়েছে। এ জন্য আমরা মামলা করেছি।’

রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজিজুর রহমান মিয়া বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে এলাকায় পুলিশ টহলে রয়েছে। সংঘর্ষ ও হামলার ঘটনায় দুটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।