নারী চিকিৎসকের লাশ উদ্ধার, স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি গ্রেপ্তার

অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রতীকী ছবি
অস্বাভাবিক মৃত্যু। প্রতীকী ছবি

সিলেট নগরের পশ্চিম পাঠানটুলার পল্লবী আবাসিক এলাকা থেকে রোববার সকালে এক নারী চিকিৎসকের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ওই নারীর বাবার অভিযোগ, তাঁকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই চিকিৎসকের স্বামী, শ্বশুর ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম প্রিয়াংকা তালুকদার শান্তা (২৯)। তিনি সিলেটের পার্ক ভিউ মেডিকেল কলেজের ফিজিওলজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন। তাঁর স্বামী দিবাকর দেব কল্লোল পেশায় স্থপতি। তাঁর একটি ব্যক্তিগত ফার্ম রয়েছে। প্রিয়াংকার বাবার বাড়ি সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার গঙ্গাধরপুর গ্রামে। পাঁচ বছর আগে তাঁর বিয়ে হয়। তাঁর তিন বছরের একটি ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকে প্রিয়াংকা স্বামীর সঙ্গে পল্লবী আবাসিক এলাকায় বসবাস করে আসছিলেন।

প্রিয়াংকার বাবা ঋষিকেশ তালুকদার অভিযোগ করেন, তাঁর মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে স্বামীর বাড়ির লোকজন হত্যা করেছে। হত্যা শেষে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়। এই ঘটনায় তিনি রোববার দুপুরেই জালালাবাদ থানায় প্রিয়াংকার স্বামী দিবাকর দেব কল্লোল, শ্বশুর সুভাষ চন্দ্র দেব ও শাশুড়ি রত্না রানী দেবকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেছেন।

জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ মো. হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, নারী চিকিৎসকের মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর বাবা একটি হত্যা মামলা করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে পুরো বিষয় বোঝা যাবে। এ ছাড়া পুলিশ প্রিয়াংকার বাবার অভিযোগটি আমলে নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। মামলার পরপরই পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।