বিনা মূল্যে ধান কেটে দিলেন স্কাউট সদস্যরা

এক মন ধানের দাম ৫০০ টাকা। আর একজন শ্রমিকের একদিনের মজুরি ৯০০ টাকা। তারপরও মিলছে না শ্রমিক। কৃষকেরা যখন ধান কাটা নিয়ে বিপাকে পড়েছেন, তখন সহযোগিতার হাত বাড়ালেন স্কাউট সদস্যরা। আজ সোমবার ধান কেটে কৃষকের বাড়ি পৌঁছে দিলেন তাঁরা।

ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলায় এ অনন্য নজির সৃষ্টি করলেন হেলডস ওপেন স্কাউট গ্রুপের তরুণ সদস্যরা। স্কাউটের এই গ্রুপে আছেন ময়মনসিংহ ও ফুলপুরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়াশোনা করা তরুণ-তরুণীরা।

সংগঠনটির সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকের চড়া মজুরি ও সংকটের কারণে যেসব কৃষক বেশি অসহায় হয়ে পড়েছেন, সেসব কৃষকদের অগ্রাধিকার দিয়ে ধান কেটে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংগঠনটি। আজ সকাল থেকে উপজেলার রূপসী ইউনিয়নের গোমগাঁও গ্রামে এ কাজের শুরু করেন তাঁরা।

গোমগাঁও গ্রামের ক্যানসার আক্রান্ত আবু বক্কর তাঁর ৮০ শতক জমির ধান কাটতে পারছিলেন না। স্কাউট সদস্যরা ওই ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছেন। স্বেচ্ছাশ্রমে স্কাউট সদস্যদের ধান কেটে দেওয়ার বিষয়টি ওই এলাকায় সারা ফেলেছে। গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, কৃষকদের পাশে দাঁড়ানো তরুণদের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। এতে অসহায় কৃষক উপকৃত হবেন।

সংগঠনের মহাসচিব তাসফিক হক বলেন, আজ সকাল ৯টা থেকে ধান কাটার কাজ শুরু হয়। সংগঠনের কয়েকজন নারী সদস্যসহ মোট ২০ জন মিলে ধান কাটার কাজ করেন। বেলা তিনটায় কাজ শেষ হয়। আবার বুধবার ধান কেটে দেবেন তাঁরা।

হেলডস ওপেন স্কাউট গ্রুপের কো-চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান বলেন, ‘ধানের দাম কম, আবার শ্রমিক সংকটের বিষয়টি এখন সারা দেশের সমস্যা। এ সমস্যা সমাধানের কার্যকর উপায় খুঁজতে গিয়ে আমরা মানববন্ধন বা দাবি আদায়ের কোনো কর্মসূচি পালন না করে সরাসরি সমস্যা সমাধানে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিই। সেই সিদ্ধান্ত থেকেই ধান কাটা। আমাদের এ উদ্যোগ চলমান থাকবে। সদস্যরা আগে কোনো দিন ধান কাটেননি। স্বেচ্ছাশ্রমে ধান কেটে তাঁরা আনন্দিত।’