উচ্ছেদ অভিযানের সময় ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা

সড়কের ওপর অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শেরশাহ বাংলাবাজার, চট্টগ্রাম। ছবি: জুয়েল শীল
সড়কের ওপর অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করতে গিয়ে বাধার মুখে পড়েন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। শেরশাহ বাংলাবাজার, চট্টগ্রাম। ছবি: জুয়েল শীল

সড়কের ওপর অবৈধ বাজার ও স্থাপনা উচ্ছেদ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দোকানিরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িসহ চারটি গাড়ি ভাঙচুর করেন। এতে পুলিশসহ দুজন আহত হয়েছেন। সোমবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর বাংলাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলার ঘটনায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে স্থানীয় কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল ও অতিরিক্ত পুলিশ সদস্যরা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর বাজারটি উচ্ছেদ করা হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সিটি করপোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার।

সিটি করপোরেশনের জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল প্রথম আলোকে বলেন, সিডিএর নির্মাণাধীন রাস্তা দখল করে দুই বছর আগে অবৈধ বাজারটি গড়ে উঠেছে। ‘পানি জসিম’ নামে যুবলীগের এক কর্মী এসব দোকান নির্মাণ করে ভাড়া দিয়েছিলেন। বিভিন্ন সময় বাজার সরিয়ে নেওয়ার কথা বলা হলেও কেউ কথা শুনেননি। সোমবার বিকেলে বাজার উচ্ছেদ করতে গেলে দোকানিরা ভ্রাম্যমাণ আদালতের ওপর হামলা করেন। এই সময় করপোরেশনের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়।

বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের ওপর গড়ে ওঠা বাজার থেকে জিনিসপত্র সরিয়ে নিচ্ছিলেন দোকানিরা। অভিযানের কাজে ব্যবহৃত পে লোডার ভাঙচুর অবস্থায় পড়েছিল সড়কের ওপরে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি, একটি পিকআপ ভ্যান ও ট্রাক ভাঙচুর করে হামলাকারীরা।

সিটি করপোরেশনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার নমিতা বিশ্বাস প্রথম আলোকে বলেন, বেলা আড়াইটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে যান। দোকানিদের জিনিসপত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য আধা ঘণ্টা সময় দেওয়া হয়। বেলা তিনটা থেকে অভিযান শুরু হয়। কিন্তু ১৫ মিনিট পর দোকানিরা লাঠিসোঁটা নিয়ে দল বেঁধে তাঁদের ওপর হামলা করে। ওই সময় অভিযানে থাকা পুলিশ সদস্য মুজিবর রহমানকে ব্যাপক মারধর করে হামলাকারী। আহত হয়েছেন সিটি করপোরেশনের পে লোডার চালক মোহাম্মদ শাহ আলম।

বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার আতাউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সরকারি কাজে বাধা এবং পুলিশের ওপর হামলা করায় তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। হামলায় জড়িত অন্যদের ধরতে অভিযান চালানো হচ্ছে।