সিলেটে গ্রেপ্তারের দুই ঘণ্টা পর মুক্ত সেই ছাত্রলীগ নেতা

সারোয়ার হোসেন চৌধুরী।
সারোয়ার হোসেন চৌধুরী।

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তারের দুই ঘণ্টা পর জামিনে মুক্ত হয়েছেন সিলেট দক্ষিণ সুরমা উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সারোয়ার হোসেন চৌধুরী।

আজ মঙ্গলবার বেলা একটার দিকে সিলেট নগরের বন্দর বাজার কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে হত্যা ও ধর্ষণের হুমকির অভিযোগে গতকাল সোমবার রাতে কোতোয়ালি থানায় সারোয়ার হোসেন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। মামলা দায়েরের পর আজ বেলা একটার দিকে সারোয়ারকে নগরের কোর্ট পয়েন্ট এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তিনি আদালত থেকে জামিনে রয়েছেন বলে পুলিশকে জানান। তবে ওই সময় জামিনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি তিনি। সারোয়ারকে থানায় নিয়ে যাওয়ার প্রায় দুই ঘণ্টা পর আদালত থেকে জামিনের কাগজ দেখান তাঁর আইনজীবী। পরে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন। প্রথম আলো ফাইল ছবি
শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের সঙ্গে ছাত্রলীগ নেতার অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদ ও শাস্তির দাবিতে শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন। প্রথম আলো ফাইল ছবি

সিলেট কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সেলিম মিঞা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে হুমকির ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সারোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। গ্রেপ্তারের সময় তিনি জামিনে রয়েছেন বলে পুলিশকে জানান। তবে সে সময় তিনি জামিনের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে তাঁর আইনজীবী সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের দেওয়া জামিনের কাগজপত্র দেখালে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

গত বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সহকর্মীর পেটে ব্যথার চিকিৎসা নিতে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান সারোয়ার। এ সময় তাদের সঙ্গে আরও ১৫-১৬ জন যুবক ছিলেন। রোগীর চিকিৎসার স্বার্থে দুজন বাদে বাকিদের ওয়ার্ডের বাইরে চলে যেতে বলায় শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে বিভিন্নভাবে অপদস্থ করেন সারোয়ার হোসেন। এ সময় তিনি এক শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে নিজের কাছে থাকা চাকু দিয়ে হত্যা ও হাসপাতালের বাইরে গেলে ধর্ষণ করার হুমকি দেন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনার প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার রাতে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করেন হাসপাতালের কর্মরত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। শুক্রবার থেকে এ ঘটনার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করেন হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চিকিৎসকেরা। এ ঘটনায় সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে শনিবার বিকেলে কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।