২০৩০ সালেই ভারতকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ

২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয়ে ভারতের থেকে ৩০০ ডলার বেশি থাকবে বাংলাদেশের।
২০৩০ সালের মধ্যে মাথাপিছু আয়ে ভারতের থেকে ৩০০ ডলার বেশি থাকবে বাংলাদেশের।

মাথাপিছু আয়ের ক্ষেত্রে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতকে পেছনে ফেলবে বাংলাদেশ। অর্থনৈতিক দিক থেকে আগামী দশকগুলোতে প্রতিবেশী ভারতের থেকে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ। এক গবেষণার ভিত্তিতে এমনই পূর্বাভাস দিচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক।

আন্তর্জাতিক এই ব্যাংকিং প্রতিষ্ঠান তাদের এক গবেষণার বরাত দিয়ে জানাচ্ছে, ২০৩০ সালের মধ্যে ভারতের মাথাপিছু আয় দাঁড়াবে ৫ হাজার ৪০০ ডলারে। অন্যদিকে একই সময়ে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ৫ হাজার ৭০০ ডলার। মাথাপিছু আয়ে ভারতের থেকে ৩০০ ডলার বেশি থাকবে বাংলাদেশের।

ব্যাংকটি বলছে আগামী ২০২০-এর দশকটা হবে এশিয়ার। কারণ এ অঞ্চলের দেশগুলো এ দশকে প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশের আশপাশে ধরে রাখতে সক্ষম হবে। তবে তালিকার সেরা দশটি দেশ হবে এশিয়া ও আফ্রিকার। চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, নাইজেরিয়া, ইথিওপিয়া, তানজানিয়া, উগান্ডা এবং মোজাম্বিক প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশের ঘরে ধরে রাখবে বলেই মনে করছে গবেষকেরা।

স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের ভারতের প্রধান গবেষক মাধুর ঝা ও বৈশ্বিক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেভিড মান এ গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছেন। তাঁদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এশিয়ার মধ্যে ভারত, বাংলাদেশ, ভিয়েতনাম, মিয়ানমার ও ফিলিপিন প্রবৃদ্ধি অর্জনে শীর্ষে থাকবে। তালিকায় সবচেয়ে ভালো পূর্বাভাস পেয়েছে ভিয়েতনাম। ২০৩০ সালে দেশটির মাথাপিছু আয় বেড়ে দাঁড়াবে ১০ হাজার ৪০০ ডলারে। গত বছরে দেশটির মাথাপিছু আয় ছিল ২ হাজার ৫০০ ডলার।

ব্যাংকটির তালিকায় থাকা দক্ষিণ এশীয় সদস্যদের জিডিপি লক্ষণীয় মাত্রায় বাড়বে। কারণ ২০৩০ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে সমগ্র বিশ্বের এক–পঞ্চমাংশ লোকের বাসস্থান হবে। ব্যাংকটি মনে করে, জনসংখ্যার এই বৃদ্ধি ভারতের জন্য আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগের সুফল পাবে বাংলাদেশ।

চার দশক ধরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বজায় রেখে চলা বিশ্বের দ্বিতীয় অর্থনীতির দেশ চীন এবারের তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে। কারণ হিসেবে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কয়েক বছর ধরে দেশটি অর্থনীতি মন্থরগতিতে চলছে। আর এ ধারা চললে আগামী দিনে চীনের প্রবৃদ্ধির ধারা কমতে শুরু করবে। আর তা ৫ দশমিক ৫ শতাংশের আশপাশে হতে পারে বলেও আশঙ্কা স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের গবেষকদের।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রবৃদ্ধির এই উচ্চগতি দেশগুলোকে চরম দারিদ্র্যের হার কমতে সাহায্য করবে। পাশাপাশি সবার জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে বিভিন্ন পণ্য ও সেবায় জনগণের প্রবেশ সহজলভ্য হবে। এ ছাড়া, আয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশগুলোর সামাজিক ও রাজনৈতিক অস্থিরতাও কমে আসবে।