ঘর থেকে মা আর ডোবা থেকে ছেলের লাশ উদ্ধার

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার বাশিলা গ্রামে শোয়ার ঘর থেকে এক গৃহবধূ এবং বাড়ির পাশের ডোবা থেকে তাঁর শিশু সন্তানের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ বুধবার ভোরে লাশ দুটি উদ্ধার করেছে নলডাঙ্গা থানার পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর নাম শারমিন বেগম (২১) ও শিশু সন্তানের নাম আবদুল্লাহ (২)। তারা ওই গ্রামের মাহামুদুল হাসানের স্ত্রী ও সন্তান। মাহামুদুল হাসান ঢাকায় চাকরি করেন। পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে, মা-ছেলেকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহত গৃহবধূর দেবর ও তাঁর স্ত্রীকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে।

নলডাঙ্গা থানা ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শারমিন বেগম গতকাল মঙ্গলবার ইফতারি করে ছেলে আবদুল্লাহকে নিয়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে পড়েন। সাহরির সময় বাড়ির অন্যান্য লোকজন তাদের ডাকাডাকি করলে সাড়া মেলেনি। তাঁর ঘরে গিয়ে ধাক্কা দিতেই দরজা খুলে যায়। দরজা খুলে শারমিন বেগমের মৃতদেহ বিছানায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। তাঁর গলায় ওড়না প্যাঁচানো ছিল।

খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে আবদুল্লাহর মৃতদেহ পাওয়া যায় বাড়ির পাশের ডোবার পানিতে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শারমিনের দেবর আহমেদুল হাসান ও তাঁর স্ত্রী তানিয়া বেগমকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

নিহত শারমিনের শ্বশুর আমজাদ হোসেন জানান, চার বছর আগে তাঁর ছেলে মাহামুদুল হাসানের সঙ্গে একই উপজেলার হরিদাখলসি গ্রামের ওমর আলীর মেয়ে শারমিন আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে তাঁর ছেলে ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করে। শিশু সন্তানকে নিয়ে বাড়ির আধা পাকা একটি কক্ষে থাকতেন শারমিন। আজ ভোরে সাহরি খাওয়ার সময় শারমিনকে ডাকতে গিয়ে বিছানায় তার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে বাড়ির পাশের ডোবায় শারমিন ও মাহামুদুলের একমাত্র সন্তানের লাশ পাওয়া যায়। কে বা কেন তাদের হত্যা করেছে তা বলতে পারেননি শ্বশুর আমজাদ হোসেন।

নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। হত্যার কারণ বা এর সঙ্গে জড়িতদের নাম এখনো জানা যায়নি।