ঈদ উপলক্ষে প্রতিদিন ট্রেনের ২৭ হাজার টিকিট

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ২২ মে থেকে ঈদের অগ্রিম ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হবে। কমলাপুরসহ ঢাকার ৫টি জায়গা থেকে এই টিকিট দেওয়া হবে। প্রতিদিন ঢাকায় প্রায় ২৭ হাজার টিকিট দেওয়া হবে, যার অর্ধেক পাওয়া যাবে মোবাইল অ্যাপস থেকে আর বাকি অর্ধেক সংগ্রহ করতে হবে কাউন্টার থেকে। আজ বুধবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে রেলমন্ত্রী এ কথা জানান।

২২ মে পাওয়া যাবে ৩১ মের টিকিট। এ ছাড়া ২৩ মে ১ জুনের, ২৪ মে ২ জুনের, ২৫ মে ৩ জুনের এবং ২৬ মে ৪ জুনের টিকিট দেওয়া হবে। ঈদের সম্ভাব্য তারিখ ৫ জুন ধরে এই টিকিট দেওয়া হবে।

ঢাকার কাউন্টারগুলোর মধ্যে কমলাপুর থেকে দেওয়া হবে সমগ্র পশ্চিমাঞ্চলগামী ট্রেন টিকিট ভায়া যমুনা সেতু। বিমানবন্দর কাউন্টার থেকে দেওয়া হবে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালীগামী সব আন্তনগরের টিকিট। তেজগাঁও রেলস্টেশনে পাওয়া যাবে ময়মনসিংহ, জামালপুরগামী সব আন্তনগরের টিকিট। বনানী থেকে দেওয়া হবে নেত্রকোনাগামী মোহনগঞ্জ ও হাওর এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিট। ফুলবাড়িয়া পুরোনো রেলভবন থেকে দেওয়া হবে সিলেট ও কিশোরগঞ্জগামী সব আন্তনগর ট্রেনের টিকিট।

টিকিট কেনার জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদর্শন বাধ্যতামূলক। একজন যাত্রী সর্বোচ্চ চারটি টিকিট নিতে পারবেন। প্রত্যেক বিক্রয়কেন্দ্রে নারীদের জন্য একটি করে আলাদা কাউন্টার থাকবে।

ঈদ উপলক্ষে ৮ জোড়া বিশেষ ট্রেন চলাচল করবে। ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা রুটে ২ থেকে ৪ জুন এবং ৬ থেকে ১২ জুন চলবে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল এক জোড়া ট্রেন। আর চট্টগ্রাম-চাঁদপুর-চট্টগ্রাম রুটে ২ থেকে ৪ জুন এবং ৬ থেকে ১২ জুন চলবে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল দুই জোড়া ট্রেন।

ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ঈদের সময় বন্ধ থাকবে। ওই ট্রেনটি দিয়ে চালানো হবে খুলনা ঈদ স্পেশাল একটি ট্রেন। ৩ জুন রাত ১২টা ৫ মিনিটে ট্রেনটি ঢাকা ছাড়বে। ঢাকা-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে ২ থেকে ৪ জুন চলবে ঈশ্বরদী ঈদ স্পেশাল ট্রেন। লালমনি ঈদ স্পেশাল নামে বিশেষ একটি ট্রেন ২ থেকে ৪ জুন চলবে লালমনিরহাট-ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে।

ঈদের দিন চালু থাকবে শোলাকিয়া স্পেশাল ১ ও শোলাকিয়া স্পেশাল ২ ট্রেন দুটি। শোলাকিয়া স্পেশাল ১ চলবে ভৈরব-কিশোরগঞ্জ-ভৈরব রুটে, আর শোলাকিয়া স্পেশাল ২ চলবে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ-ময়মনসিংহ রুটে।

ঈদ উপলক্ষে রেলওয়ের কর্মসূচি সম্পর্কে এসব তথ্য জানান রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। আজ দুপুরে রেলওয়ে ভবনে সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি বলেন, মোবাইল অ্যাপসে যে ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি হওয়ার কথা, তা যদি অ্যাপসের মাধ্যমে বিক্রি না হয়, তবে কাউন্টারের মাধ্যমে পাওয়া যাবে। টিকিট কালোবাজারি প্রতিরোধ ও নাশকতা রোধে তাঁরা বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছেন।

স্পেশাল ট্রেনের টিকিট মোবাইল অ্যাপসে পাওয়া যাবে না। ঈদের ফিরতি টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মে থেকে ২ জুন পর্যন্ত। ২৯ মে ৭ জুনের, ৩০ মে ৮ জুনের, ৩১ মে ৯ জুনের আর ১ জুন ১০ ও ১১ জুনের টিকিট পাওয়া যাবে।

২৯ মে থেকে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস নামে নতুন একটি ট্রেন চালু হবে ঢাকা-পঞ্চগড়-ঢাকা রুটে। প্রধানমন্ত্রী ২৫ মে গণভবনে এক ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে পঞ্চগড় এক্সপ্রেসের উদ্বোধন করবেন। ১৮টি বগি নিয়ে বিরতিহীনভাবে ঢাকা থেকে সরাসরি পার্বতীপুর পর্যন্ত যাবে ট্রেনটি। এরপর দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এ দুই জায়গায় থেমে পঞ্চগড়ে গিয়ে শেষ হবে ট্রেনটির যাত্রা।

বনলতার মতো পঞ্চগড় এক্সপ্রেসে খাবার বাধ্যতামূলক করা হয়নি। ভাড়ার হার নির্ধারণ করা হয়েছে শোভন ৫৫০ টাকা, এসি চেয়ার ১ হাজার ৩৫ টাকা, এসি কেবিন ১ হাজার ২৬০ টাকা এবং এসি স্লিপিং বার্থ ১ হাজার ৮৯২ টাকা। ৫৯৩ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এটি বাংলাদেশের সর্ব দীর্ঘ ট্রেন সার্ভিস হতে যাচ্ছে।