স্কুলছাত্রী অপহরণের অভিযোগ, ৪ দিন পর উদ্ধার

বগুড়ার ধুনট উপজেলায় অপহরণের অভিযোগের চার দিন পর এক স্কুলছাত্রীকে (১২) উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ বুধবার সকাল ১০ টার দিকে গোসাইবাড়ী এলাকা থেকে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই স্কুলছাত্রীকে উদ্ধার করা হয়। অপহরণের অভিযোগে সোহেল রানা (২২) নামে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে ওই তরুণ দাবি করেছেন, মেয়েটির সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। তিনি অপহরণ করেননি।

সোহেল রানা দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ উপজেলার বীরগঞ্জ গ্রামের রসুল বক্সের ছেলে। তাঁর নানার বাড়ি ধুনট উপজেলার নাটাবাড়ী গ্রামে।

থানায় মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ থেকে জানা যায়, সোহেল রানা নানাবাড়িতে বেড়াতে এসে ওই ছাত্রীকে দেখেন। তিনি মেয়েটিকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে সে তা প্রত্যাখ্যান করে। ১০ মে বেলা ১১টার দিকে মেয়েটি কোচিং সেন্টারে যাওয়ার পথে সোহেল রানা তাকে কৌশলে অপহরণ করেন। এই ঘটনায় মেয়েটির বাবা বাদী ওই দিন রাতে সোহেল রানার বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ আনেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযান চালিয়ে আজ সকালে গোসাইবাড়ী এলাকা থেকে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় মেয়েটিকে। শারীরিক পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। সোহেল রানাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

থানাহাজতে আটক সোহেল রানা অভিযোগ করেন, অপহরণের অভিযোগ করে তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। ওই স্কুলছাত্রীর সঙ্গে তাঁর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তাই বিয়ে করার জন্য তাকে নিয়ে গিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে স্কুলছাত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও সে কোনো কথা বলতে রাজি হয়নি।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, স্কুলছাত্রীর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে সোহেল রানাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্কুলছাত্রীকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে ২২ ধারায় তার জবানবন্দি নেওয়ার জন্য বগুড়ার নির্বাহী হাকিম আদালতে পাঠানো হয়।