চাল রপ্তানির পরিকল্পনা করছে সরকার: খাদ্যমন্ত্রী

সাধন চন্দ্র মজুমদার
সাধন চন্দ্র মজুমদার

খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাংলাদেশে উৎপাদিত চাল বিদেশে রপ্তানি করার পরিকল্পনা করছে সরকার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা সরকারিভাবে প্রান্তিক কৃষক এবং মিলারদের কাছ থেকে ধান ও চাল কেনার যে বরাদ্দ দিয়েছি, তা যেন নিয়ম মেনে কেনা হয়, যেন বাজারে তার প্রভাব পড়ে।’

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা খাদ্য গুদামে প্রান্তিক কৃষক এবং মিলারদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ধান ও চাল ক্রয় উদ্বোধন শেষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এসব কথা বলেন।

কম দামে ধান বিক্রি করে উৎপাদন খরচ না ওঠায় গত রোববার নিজের পাকা ধানে আগুন লাগিয়ে ব্যতিক্রমী প্রতিবাদ করেন টাঙ্গাইলের কৃষক আবদুল মালেক সিকদার। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘ধানের দাম কম, এ জন্য একজন কৃষক হিসেবে সেই দুঃখ আমারও আছে। কিন্তু তাই বলে কৃষক তার উৎপাদিত ধানে আগুন দেবেন, এটা হতে পারে না। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। স্থায়ী সমাধানের জন্য যেসব এলাকায় বোরো ধান বেশি উৎপাদন হয়, সেখানে নতুন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যাতে আমরা বেশি পরিমাণ ধান কিনে সংরক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারি।’

জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এ ছাড়া ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ইফতেখার উদ্দিন শামীম, পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তী, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, জেলা চেম্বারের সভাপতি আবু ইউসুফ প্রমুখ অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

সিরাজগঞ্জ জেলা খাদ্য বিভাগ জানিয়েছে, চলতি বছর সিরাজগঞ্জ জেলায় ৫ হাজার ৮৮৩ মেট্রিক টন ধান, ২২ হাজার ১০০ মেট্রিক টন বোরো চাল এবং ৫ হাজার ৮২২ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহ করা হবে। সরকারিভাবে ধানের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৬ টাকা কেজি, চাল ৩৬ টাকা কেজি ও আতপ চাল ৩৫ টাকা কেজি।

পরে মন্ত্রী রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা খাদ্য গুদাম পরিদর্শন করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল হোসেন তালুকদার, ইউএনও মো. শামীমুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চান্দাইকোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান খান প্রমুখ।