ইউএনও আসার আগে পালালেন তাঁরা

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে এক্স আর্মি নার্সিং হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যান। বিরামপুর, দিনাজপুর, ১৫ মে। ছবি: এ এস এম আলমগীর
ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের খবর পেয়ে এক্স আর্মি নার্সিং হোমের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালিয়ে যান। বিরামপুর, দিনাজপুর, ১৫ মে। ছবি: এ এস এম আলমগীর

অন্যান্য দিনের মতো বুধবার সকাল থেকেই খোলা ছিল নার্সিং হোমটি। রোগী, রোগীদের স্বজন ও সেবাপ্রত্যাশীদের আনাগোনাও ছিল লক্ষণীয়। বেলা তিনটার দিকে হঠাৎ করেই নার্সিং হোমটি তালাবদ্ধ করে দ্রুত সটকে পড়েন সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

এর কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল নিয়ে নার্সিং হোমে উপস্থিত হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তৌহিদুর রহমান। এ সময় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কোনো সাড়া না পাওয়ায় নার্সিং হোমটি সিলগালা করেন তিনি। বুধবার বেলা তিনটার দিকে দিনাজপুরের বিরামপুর পৌর শহরের এক্স আর্মি নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

ইউএনও তৌহিদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি দল নিয়ে সকাল থেকে বিরামপুরে বিভিন্ন ক্লিনিকে অভিযান চালানো হয়। বেলা তিনটার দিকে এক্স আর্মি নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গিয়ে দেখতে পান নার্সিং হোমের মূল গেটটি তালাবদ্ধ। কিন্তু ভেতরের সব দরজা-জানালা খোলা। ভেতরের পরিবেশ খুব নোংরা। চিকিৎসাসেবা দেওয়ার মতো কোনো পরিবেশ ও প্রয়োজনীয় উপকরণ নেই। এ ছাড়া নার্সিং হোমটির কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। ভ্রাম্যমাণ আদালতের আসার খবর পেয়ে তালাবদ্ধ করে কর্তৃপক্ষ পালিয়েছে। তাই প্রচলিত আইনে নার্সিং হোমটি সিলগালা করা হয়েছে।

স্থানীয় লোকজন জানান, নার্সিং হোমটি খোলাই ছিল। লোকজনের আনাগোনাও ছিল। ইউএনও আসার খবর পেয়ে হঠাৎ করে নার্সিং হোম থেকে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বের করে দিয়ে মূল ফটক তালাবদ্ধ করে দ্রুত সটকে পড়েন সবাই।

ইউএনও বলেন, বিভিন্ন অপরাধে বিরামপুরের মডার্ন ক্লিনিক, নিউ মডার্ন ক্লিনিক ও রাইয়ান হেলথ কেয়ার থেকে পাঁচ হাজার করে টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ওষুধ বিক্রয়কেন্দ্র, হার্ডওয়্যার দোকানে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হয়েছে।