৭ ধারা জারির পর অন্য অভিযোগ গ্রহণ করা হবে না: ভূমিমন্ত্রী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, ভূমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়ায় ৭ ধারায় নোটিশ জারির পর প্রায়ই দেখা যায়, অসাধু চক্র মাঠপর্যায়ে মানুষকে হয়রানির উদ্দেশ্যে আরেকজনকে দিয়ে টাইটেল মামলা করায়।

তাই ৭ ধারায় নোটিশ জারির পর আর কোনো অভিযোগ গ্রহণযোগ্য হবে না মর্মে শিগগির পরিপত্র জারি করা হবে।

গতকাল বুধবার ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর আয়োজিত ‘ভূমি জরিপ কার্যক্রমের চ্যালেঞ্জসমূহ ও উত্তরণে করণীয়’ শীর্ষক এক দিনের কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভূমিমন্ত্রী এ কথা বলেন। রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অবস্থিত অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ের এই অনুষ্ঠান হয়।

সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ৩ ও ৪ ধারার নোটিশ জারি করার পরই শেষবারের মতো ৭ ধারায় নোটিশ জারি করা হয়। সুতরাং, এই নোটিশ জারির পর অন্য কোনো অভিযোগ্য গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়।

ভূমি ব্যবস্থাপনার সমস্যা দূর করতে না পারলে মাঠপর্যায়ে মানুষের ভোগান্তি দূর করা সম্ভব হবে না বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, জনস্বার্থে কর্মকর্তাদের নিজেদের নেতৃত্বগুণাবলি প্রয়োগ করে অধীনস্থ ব্যক্তিদের থেকে কাজ আদায় করে নিতে হবে।

সবাইকে দ্রুত শোধরানোর পরামর্শ দিয়ে সাইফুজ্জামান বলেন, কিছুদিনের মধ্যেই অনিয়মের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হবে। দুর্নীতিমুক্ত ভূমি ব্যবস্থাপনা গড়ার ক্ষেত্রে যাঁরা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করবেন না, তাঁদের ঠিক করে ফেলা উচিত, তাঁরা কী করবেন। যাঁরা অন্যায় করবেন, তাঁরা কেউই রেহাই পাবেন না।

মন্ত্রী বলেন, দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে পারলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় সুশাসন নিশ্চিত করা সম্ভব। সুশাসন নিশ্চিত করতে পারলে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে। এ জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানসিকতায় পরিবর্তন আনতে হবে। গতানুগতিক চিন্তা করলে কোনো লাভ হবে না।

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশাসন) আলীম আখতার খান। আরও উপস্থিত ছিলেন অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক মাহফুজুর রহমান, সাবেক পরিচালক ফায়েকুজ্জামান চৌধুরী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক নূরুল ইসলাম নাজেম।