কেন্দুয়ায় অটোরিকশাচালকে কুপিয়ে হত্যা

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জোবায়ের আলম হাসান (২২) নামের সিএনজিচালিত অটোরিকশার এক চালককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। গতকাল বুধবার রাত দেড়টার দিকে মাসকা আলমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ওই যুবকের বাড়ি মাসকা আলমপুর গ্রামে। আহত ব্যক্তিরা হলেন নিহত ব্যক্তির বাবা রুহুল আমিন, মা কল্পনা আক্তার ও চাচা ফারুক মিয়া। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

আটক তিনজন হলেন আবুল কালাম আজাদ, তাঁর স্ত্রী ঝরনা আক্তার ও ভাই খোকন মিয়া। তাঁদের বাড়িও মাসকা আলমপুর গ্রামে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মাসকা আলমপুর গ্রামের জোবায়ের আলম হাসানের সঙ্গে একই গ্রামের আবুল কালাম আজাদের টাকা–পয়সার লেনদেন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। আবুল কালামও পেশায় সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক। গতকাল সন্ধ্যায় জোবায়ের আলম তাঁর পাওনা টাকা চাইতে যান। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তা স্থানীয় লোকজন থামিয়ে দেন। ওই বিরোধের জের ধরে দিবাগত রাত দেড়টার দিকে আবুল কালাম তাঁর লোকজন নিয়ে জোবায়ের আলমের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় জোবায়েরকে এলোপাতাড়ি কোপানো হয়। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে বাবা রহুল আমিন, মা কল্পনা আক্তার ও চাচা ফারুক মিয়াকেও কুপিয়ে জখম করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের উদ্ধার করে রাত সাড়ে তিনটার দিকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জোবায়েরকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তাঁর বাবা, মা ও চাচাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। বর্তমানে তাঁরা ওই হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বলেন, জোবায়েরের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ নিয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আবুল কালাম আজাদ, খোকন মিয়া ও ঝরনা আক্তার নামের তিনজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। বাকি জড়িত ব্যক্তিদের ধরতে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।