হত্যাকাণ্ডের ১০ দিনের মধ্যে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে

হাইকোর্ট
হাইকোর্ট

হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হওয়ার ১০ দিনের মধ্যে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিলের জন্য তদন্ত কর্মকর্তাদের (আইও) নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। 

বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেয়। আদালতের এই আদেশের অনুলিপি স্বরাষ্ট্রসচিব, স্বাস্থ্যসচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)) ও আইজি প্রিজনকে পাঠাতে বলা হয়েছে।
এর আগে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের একটি জোড়া খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস মণ্ডল আদালতের তলবে হাজির হন। তিনি ওই মামলার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। পরে হাইকোর্ট ওই আদেশ দেন।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

গত ৬ মে বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জের জোড়া খুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ঠাকুর দাস মণ্ডলকে তলব করেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশের পরেও ওই মামলার সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না করায় তাঁকে তলব করা হয়।

সংশ্লিষ্ট মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ইসলাম ফকিরের জামিন শুনানিকালে এ হাইকোর্ট বেঞ্চ আদেশ দেন। গত বছরের ১ অক্টোবর দৈবজ্ঞহাটি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনছার আলী দিহিদারকে (৫২) বাড়ি থেকে ও যুবলীগ নেতা শুকুর আলী শেখকে (৪০) দৈবজ্ঞহাটি বাজার থেকে ধরে নিয়ে পিটিয়ে, কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় অভিযোগ ওঠে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় আনা মামলার প্রধান আসামি চেয়ারম্যান শহিদুল ফকিরসহ ইউনিয়ন পরিষদের দফাদার আবুয়াল ফকির, চৌকিদার আবুল শেখ, জুলহাস ডাকুয়া ও কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর জামিন চেয়ে নিম্ন আদালতে আবেদন জানায় মামলার প্রধান আসামি শহিদুল ফকির। কিন্তু নিম্ন আদালতে জামিন চেয়ে ব্যর্থ হয়ে হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন আসামি শহিদুল ইসলাম ফকির।