ভেলকি দেখলেন এবং দেখালেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

বিদ্যুৎ​, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি
বিদ্যুৎ​, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। ফাইল ছবি

রাজধানী ও এর আশপাশের এলাকায় বিদ্যুৎ বিতরণকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) তাদের গ্রাহকদের তাৎক্ষণিক তথ্যসেবা দিতে গতকাল বৃহস্পতিবার কল সেন্টার চালু করেছে। তবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থেকে কল সেন্টারের ১৬১১৬ নম্বরে ফোন করে যথাযথ তথ্য পাননি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

গতকাল দুপুরে রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে ডিপিডিসির কল সেন্টারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী জানান, গত পরশুও (১৪ মে) তিনি সচিবালয়ে বসে পরিচয় না জানিয়ে কল সেন্টারের নম্বরে ফোন করেছিলেন। একজন অপারেটর ফোনটি ধরলে প্রতিমন্ত্রী জানতে চান, ফতুল্লা পোস্ট অফিসের গলিতে বিদ্যুৎ নেই কেন? অপারেটর জানান, ওখানকার সুপারভাইজার মোবারক হোসেন জানিয়েছেন, সেখানে তার ছিঁড়ে গিয়েছে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে বিদ্যুৎ চলে আসবে। কিন্তু প্রতিমন্ত্রী খোঁজ নিয়ে জেনেছেন ওই এলাকায় বিদ্যুৎও যায়নি, মোবারক নামেও সেখানে কোনো সুপারভাইজার নেই।

প্রতিমন্ত্রী এরপর তাঁর ব্যক্তিগত সহকারীকে দিয়ে আবার কল সেন্টারে ফোন করান। জানতে চাওয়া হয়, চকবাজারে বিদ্যুৎ নেই। জবাবে বলা হয়, গ্রিডটি এইমাত্র ফেল করেছে। কিছু সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ চলে আসবে। অথচ গ্রিড বিপর্যয়ের ঘটনা ঘটেনি।

বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই হচ্ছে কল সেন্টারের অবস্থা। বিদ্যুৎ যায়নি, কিন্তু তারা বলে দিচ্ছে বিদ্যুৎ চলে গেছে। কিছু সময়ের মধ্যে চলে আসবে।

গতকাল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ডিপিডিসির পক্ষ থেকে প্রতিমন্ত্রীকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কল সেন্টারের নম্বরে ফোন দিয়ে অপারেটরকে ধরিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শাহবাগ থেকে বলছি, আমার এখানে বিদ্যুৎ নেই।’ কল সেন্টারের অপারেটর প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, ‘স্যার, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন।’ কিছুক্ষণ পর অপারেটর জানান, কলটি তাঁরা সংশ্লিষ্ট এলাকায় স্থানান্তর করছেন। কিছুক্ষণ পর অপারেটর বলেন, ‘আপনার এলাকায় দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে।’

ফোন লাইনটি কেটে দিয়ে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে বলেন, ‘বুঝলেন তো, এই হচ্ছে কল সেন্টারের অবস্থা।’