মাছ চাষে ভেজাল প্রোবায়োটিক, গবেষকদের উদ্বেগ

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনে খামারি পর্যায়ে মাছের স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অনেকটাই সঠিক নয়। মাছ উৎপাদনে ক্ষতিকর অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা প্রোবায়োটিকেও ভেজাল রয়েছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন একদল গবেষক। আজ শুক্রবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল গেস্টহাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তাঁরা এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেশে ভেজাল প্রোবায়োটিক চিহ্নিত করতে গবেষণা করছে বিশেষজ্ঞদের একটি দল। এই দলে আছেন যুক্তরাজ্যের স্টার্লিং বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ফ্রান্সিস মুরে ও অ্যান্ডিও ডেসবস, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকোয়াকালচার বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ মাহফুজুল হক, যুক্তরাজ্যভিত্তিক উন্নয়ন সংস্থা প্র্যাকটিক্যাল অ্যাকশনের ফারুক উল ইসলাম এবং ওয়ার্ল্ড ফিশের গবেষক মুহাম্মদ মিজানুর রহমান। ইতিমধ্যে তাঁরা বেশ কিছু ভেজাল প্রোবায়োটিক শনাক্ত করেছেন।

গবেষকেরা বলেন, অ্যান্টিবায়োটিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হওয়ায় খামারিরা মাছ চাষে প্রোবায়োটিক ব্যবহার করছেন। প্রোবায়োটিক হলো মাছ চাষে ব্যবহৃত এমন কিছু উপকারী ব্যাকটেরিয়া, যা অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে মাছের রোগ প্রতিরোধ করে। কিন্তু এই প্রোবায়োটিকেও মিলেছে ভেজাল, যা ব্যবহারে হুমকির মুখে পড়তে পারে দেশের মাছ উৎপাদন। ভেজাল প্রোবায়োটিকের প্রভাবে দেশের মাছ চাষ মারাত্মক হুমকির মুখে পড়তে পারে বলে জানান তাঁরা।

গবেষক দলের সদস্য ফ্রান্সিস মুরে বলেন, ‘বাংলাদেশের বাজারে প্রাপ্ত প্রোবায়োটিকে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া এবং রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু পাওয়া গেছে। কিন্তু ভেজাল প্রোবায়োটিক শনাক্ত কিংবা নিষিদ্ধের ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ নেই। শনাক্তকরণের পাশাপাশি প্রোবায়োটিক ব্যবহারের বিষয়ে একটি নীতিমালা সরকারকে দিতেই আমরা গবেষণা করছি।’