দুই দিনের মাথায়ই সড়কের পিচ উঠে গেছে

কাজ শেষ করার দুই দিনের মাথায় চাঁদপুরের কচুয়ার-মনপুরা গ্রামের সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে।  ছবি: প্রথম আলো
কাজ শেষ করার দুই দিনের মাথায় চাঁদপুরের কচুয়ার-মনপুরা গ্রামের সড়কের পিচ উঠে যাচ্ছে। ছবি: প্রথম আলো

চাঁদপুরের কচুয়া উপজেলার মনপুরা গ্রামে কচুয়া-কাশিমপুর সড়কের আড়াই কিলোমিটার পাকাকরণের জন্য ২০১৫ সালে দরপত্র আহ্বান করা হয়। শুরু থেকেই ঠিকাদারের বিরুদ্ধে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। ঠিকাদার নিম্নমানের ইট ব্যবহার করেন। এর ওপর কাজ প্রায় দুই বছর ফেলে রাখেন। অবশেষে গত মঙ্গলবার সড়কটি পিচঢালাই করা হয়। কিন্তু বৃহস্পতিবার গ্রামবাসী হাঁটতে গিয়ে দেখেন তাঁদের জুতার সঙ্গে পিচ উঠে আসছে।

অনিয়মের অভিযোগটি জানার পর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির সড়কের কাজ পরিদর্শনে যান। তিনি গিয়ে অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান বলেন, ‘স্থানীয় ঠিকাদার মো. সুমন প্রধানীয়া কাজটি করেছেন। কাজের মান অত্যন্ত খারাপ। সড়কটির ৫০ জায়গায় পরীক্ষা করে দেখা গেছে, হাত দিতেই পিচের ঢালাই উঠে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলীকে কাজটি আবার করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ঠিকাদার এর আগে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করেন। গ্রামবাসীর আপত্তিতে কোনো কাজ হয়নি। মঙ্গলবার দিকে সড়কটি পিচ করা হয়। কিন্তু বিটুমিন দেওয়া হয়নি। এ কারণে বৃহস্পতিবার তাঁরা দেখেন পিচ উঠে যাচ্ছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার সুমন প্রধানীয়া বলেন, কাজের মান ঠিকই ছিল। কাজটি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের লোকজনের সামনেই করা হয়েছে। এলাকার কিছু লোক সড়কের উত্তর অংশে খুনতি দিয়ে পিচ তুলে ফেলেছেন। এ কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নীলিমা আফরোজ বলেন, ‘বিষয়টি আমি জেনেছি। স্থানীয় প্রকৌশলীকে সরেজমিনে দেখে কাজ নিম্নমানের হলে তা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।’

উপজেলা প্রকৌশলী সৈয়দ জাকির হোসেন বলেন, ‘কাজটি শেষ করলেও ঠিকাদারের বিল দেওয়া হয়নি। আমরা খতিয়ে দেখব। প্রয়োজনে কাজটি আবার করা হবে।’